রাঙামাটি জেলার
লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন্দল নিরসনের দাবি
প্রকাশঃ ১০ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:৩৩:২৯
| আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৫:৪৩:০১
|
৭১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সাংগঠনিক কমিটি লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের ভেতর কোন্দল চরমে রুপ নিয়েছে। বিবাদমান এ অন্তর্দলীয় কোন্দল অবসান চান দলটির লংগদু উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। জেলা নেতাদের প্রতি এ আহবান রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে লিথিত বক্তব্য উপস্থাপন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম কামাল বলেন, সেখানে সুযোগ সন্ধানী নবাগত হাইব্রিড নেতাদের দাপটে দলীয় নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা অসহায় ও কোনঠাসা। এসব হাইব্রিড নেতার আমদানি হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত থেকে। তাদের প্ররোচনায় গত ফেব্রæয়ারির ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক সরকার ও সহ-সভাপতি আবদুর রহিমসহ ৮ নেতাকর্মীকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সব ইউনিয়ন কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমুল পর্যায়ে নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন ও দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যাদেরকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অবলিম্বে তাদের অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে বিবাদমান অন্তর্দলীয় কোন্দল নিরসনে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা নেতাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মোহাম্মদ নাসিমুল গনি, নজরুল ইসলাম, জমশেদ আলী, ওমর আলী, রেজাউল করিম, ইন্দাজ আলী, সরওয়ার গাজী, রবিউল হোসেন, খালেক সরকার, মোঃ পারভেজ, মোস্তফা ইসলাম, রাশেদ খান রাজু, মো. সাদেক হোসেন, উপজেলঅ মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা ফাতেমা জিন্নাহসহ তৃণমূল আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে যাদেরকে জেলা কমিটি থেকে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাদের স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিতে জেলা কমিটি বরাবরে সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্র জানায়, লংগদুতে চলতি সালের ৭ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তির সৃষ্টি। তখন দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বারেক সরকার, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আবদুর রহিমসহ উপজেলার ৮ নেতাকর্মীকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। কোন্দলের জেরে সর্বশেষ ৭ নভেম্বর উপজেলার মাইনিমুখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বারেক সরকারের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দলীয় কোন্দল চরম আকারে রুপ নিয়েছে।