কাল মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী
প্রকাশঃ ০৯ নভেম্বর, ২০২২ ০৪:০৩:১০
| আপডেটঃ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৬:৪৫:৪৬
|
৮৭৩
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও জুম্ম জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল বৃহস্পতিবার । প্রয়াত লারমা পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
এমএন লারমা ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর আট সহযোগীসহ দলের বিভেদপন্থী প্রীতি গ্রুপের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রত্যেক বছর রাজধানী ঢাকাসহ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হয়। এবার রাঙামাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় আকারে এমএন লারমার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলণ করা হবে।
এমএন লারমার মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমীতে জমায়েত ও কালো ব্যাজ ধারণ , প্রভাত ফেরি সকাল ৮টায়, সকাল ৯টায় পুষ্পমাল্য অর্পন , সকাল ১০টায় শোকপ্রস্তব পাঠ ও স্বরনসভা এবং বিকাল ৫টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো হবে।
জানা যায়, এমএন লারমা ১৯৭০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আসন থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট চার দফা সম্বলিত আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিনামা পেশ করেন। একই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসংহতি সমিতির একক প্রার্থী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতির দায়িত্বভার নেন এবং ১৯৭৪ সালে বাকশালে যোগ দেন। তৎকালীন সরকারের সাথে বিরোধের জের ধরে পাহাড়ে পুর্ণ স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে শান্তিবাহিনী গঠন করেন। এমএন লারমা ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর আট সহযোগীসহ দলের বিভেদপন্থী প্রীতি গ্রুপের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।