সাফ বিজয়ী কন্যাদের রাঙামাটিতে সংবর্ধনা দেয়া হবে শনিবার আদালতের এজলাসে ২ আইনজীবীর বাকবিতন্ডা, আইনজীবীর চেম্বারে হামলার অভিযোগ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী মনিকাকে সেনাবাহিনীর সংবর্ধনা বান্দরবানে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী,নতুন আক্রান্ত আরো ৪জন সচেতনতা তৈরিতে রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহের উদ্বোধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, (মহালছড়ি) খাগড়াছড়ি। লাল রঙের চিয়াংমাই আম থাইল্যান্ডের বিখ্যাত একটি জাত। থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই ফলের জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা। এই এলাকার নামানুসারে এই আমের নামকরন করা হয়েছে চিয়াংমাই আম। দেশী আমের চাইতে চিয়াংমাই আম সাইজে একটু বড় হয়, এটা খেতে খুব মিষ্টি, সুস্বাদু এবং ফলন ভালো হয়। উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়ায় চিয়াংমাই আম অতিদ্রুত দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি বছরে একবার ফলন হয় । এই আম গাছ ছাদে ড্রামে লাগাতে পারেন এবং জমিতে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা যায়।
এই আমটি এখন
ঝুলসে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার ধুমনিঘাট এর শিক্ষিত উদ্যোক্তা হ্লাশিং মং
এর ক্রা এ্এ এগ্রোফার্মে।
তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়
বিভিন্ন জাতের আমের মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছে ঝুলসে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত এই আমটি। লাল
রঙের আম ও সাইজে বড় হওয়ায় সহজেই দৃষ্টি পরে যায় এই আমটির দিকে। প্রতিটি আম ৪০০ থেকে
৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয় বলে জানিয়েছেন হ্লাশিং মং মারমা।
এছাড়াও তার বাগানে রয়েছে আরেকটি বিদেশি জাত মিয়াজাকি। সূর্যডিম বা মিয়াজাকি আম যা বিশ্ব বাজারে ‘রেড ম্যাংগো’ নামে পরিচিত সূর্যডিম বা মিয়াজাকি হলো জাপানিজ আম। বিশ্ব বাজারে এটি ‘রেড ম্যাংগো’ নামে পরিচিত। যা তিনি এখন ক্রা এ্এ এগ্রোফার্মে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে। আমটির স্বাদ অন্য আমের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। আমটি খেতে খুবই মিষ্টি।
বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছের
মধ্যে তার সংগ্রহে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বারি-১ থেকে বারি-
১১ পর্যন্ত জাতের আম, এছাড়াও কিউজাই(থাই), পালমার(ফ্লোরিডা), জাম্বুরা আম(থাই), দোকমাই(থাই),
রানী পছন্দ, রেড লেডী(ফ্লোরিডা), সূর্যো ডিম(থাই), ত্রিফলা, চৌফলা(BAU-9), শ্রাবণী-১(BAU-1),
শ্রাবণী-২(BAU-2), মাহেলেসা(BAU-14), গৌরমতী, ম্যট্রোস তোতা, আলফানসো, চোষা, পূণা হাইব্রিড
ও কেন্ট, আম্রপালি সহ প্রায় ৭০ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে তার বাগানে। বিভিন্ন ফলের মধ্য রয়েছে মালতা বারি-১, সূর্যমুখী
কলা সহ বিভিন্ন জাতের কলা, ড্রাগন ফল, আনার ও ডালিম সহ বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ।
সুমদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪ শত ফুট সু-উচ্চ পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করে সাফল্য পাওয়ায় পুরো খাগড়াছড়ি জেলা তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষিত উদ্যেক্তা হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই নাম কুরিয়েছেন। খাগড়াছড়ি জেলা তথা পুরো বাংলাদেশের বেকার যুবক-যুবতিদের আইডল এখন তিনি। চাকরির পিছনে না ছুটে তিনি নিজেই হয়ে যান উদ্যেক্তা এবং হয়ে উঠেন একজন সফল উদ্যেক্তা।