বিনা মাসুলে ডাক বিভাগের পরিবহনে রাজধানী পৌঁছবে খাগড়াছড়ির ফলজপণ্য
প্রকাশঃ ৩০ মে, ২০২০ ১০:৪৪:৩৩
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:২৪:৩৭
|
২৪৮৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বিনা মাসুলে ডাক বিভাগের পরিবহনে রাজধানী পৌঁছবে খাগড়াছড়ি জেলার উৎপাদিত সব ধরনের ফলজপণ্য। ডাক অধিদপ্তরের ‘কৃষকবন্ধু’ কর্মসূচির আওতায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকরা ঘরে বসেই বিক্রয়লদ্ধ পণ্যের অর্থ পেয়ে যাবেন। এর ফলে কোন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই ঘরে বসেই পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবেন।
এই সেবা চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির ফলবাগানী ও ফল ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশার বাস্তব প্রতিপলন ঘটেছে বলে মনে করছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
ডাক বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপি ডাক পরিবহনে ব্যবহৃত ডাক বিভাগের রাজধানী ফেরত গাড়িগুলো কৃষকের উৎপাদিত পন্য ব্যবহারে কাজে লাগানো হবে। এতে সরকারের অতিরিক্ত কোন অর্থ ব্যয় হবে না। পর্যায়ক্রমে এই সেবা সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হবে।
শনিবার (৩০ মে) বিকেলে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির কৃষকদের উৎপাদিত ৪০ হাজার লিচু পরিবহন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় চালু হওয়া এই সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: নুর-উর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশবাসীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ এবং প্রান্তিক কৃষি জনগোষ্ঠির উৎপাদিত পণ্যের সাপ্লাই চেইন গতিশলি রাখতে গত ৯ মে থেকে ‘কৃষকবন্ধু ডাক সেবা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই সেবার আওতায় বিনামাসুলে দেশব্যাপি সিভিল সার্জন কার্যালয় ও হাসপাতালগুলোতে জরুরী ঔষধপত্র ও সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ জনিত ‘লকডাউন’-এর মধ্যেই গত ২৭ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমান ডাক সেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি থেকে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় উদ্বোধনী আয়োজন এবং ডাক বিভাগের গাড়িতে কৃষক দীনেশ ত্রিপুরা’র ৪০ হাজা লিচু লোড করার সময় সরেজমিনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা)-এর ডিপিএমজি মোস্তফা কামাল, খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্তুজ আলী, খাগড়াছড়ি ডাক বিভাগের পোস্ট মাস্টার অরুণ চাকমা এবং খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কৃষি বিভাগের ব্যতিক্রমী ও সুলভ এই সেবা চালু হওয়ায় খাগড়াছড়ির ফল পরিবহনে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।