বিশ্বে অহরহ ঘটতেছে কে কাকে কিভাবে ঠকাবে। তবে এ কৌশল হলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
প্রথমে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হলে এফ বি তে তালিকা অনুযায়ী। তারপর শুরু হলো চ্যাটিং।ধীরে ধীরে বলা হলো সে ফিলিপাইনি ডিভোর্স মহিলা। লন্ডনে বার্মিং হামে বসবাস করে এবং আল রাইয়ান ইসলামী ব্যাংক বার্মিংহামে চীফ একাউন্টেন এর চাকুরী করেন।
Mare Eman.এর পর বলা হল ব্যাংক এ একজন ব্যবসায়ী ২.৮ মিলিয়ন ডলারের ডিপোজিট রেখে লিবিয়ায় যুদ্ধে পরিবার পরিজন নিয়ে হঠাৎ মারা গেল,আর কেউ বেঁচে রইল না।এই টাকা উত্তোলন করতে হবে নমিনী তৈরি করি। Mare Eman যেহেতু ব্যাংকে চাকুরী করেন সেই সুবাধে ইমেইলে Mare Emanকে ডকুমেন্ট পাঠানো হলো।এবার চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুলতান চৌধুরীকে আবেদন করা হলো। উনি একজন এটার্নির ইমেইল ঠিকানা দেওয়া হলো। ধৈর্য্য ধরুন আরও রয়েছে ক্লাইম্যাক্স।
এটর্নি জানালেন বেনজিয়াক ডেনিসের লিবিয়া থেকে ডেট সার্টিফিকেট আনতে হবে। বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া,খাওয়া খরচ ইত্যাদির জনয টাকা লাগবে। এমন ভাবে বিশ্বাস জমালো যে গোগলে আল রাইয়ান ব্যাংকের সিইও এর নাম,মোবাইল নাম্বার এবং এটার্নির চেম্বার ক্রস ওয়াল্ড লন্ডনে সবই ঠিক আছে।
ডেথ সার্টিফেকেট নেওয়া হলো,এবার প্রয়োজন পুলিশের থেকে এন্টি ড্রাগ সার্টিফিকেট নিতে হবে। ডলার পাঠাও। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে বাহিরের দেশে রেমিট্যান্স যায় না,এ ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করা হলো। বাংলাদেশের দুই জনের হিসাব নম্বর দেওয়া হলো।ডাটা গুলো নিম্নরুপ-
MD Sharual IslamTusher
A/C - 701 701,7634016
Mirpur 10 branch,Dutch bangla bank ltd.
Agent A/C = 14811028874
Ring Road branch dhaka.
MD Masud Rana
Dutch bangla bank, Mohakali branch,Dhaka.
এই হিসাব নম্বরে ধাপে ধাপ ৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর UK থেকে একটা ATM কার্ডDHL এর মাধ্যমে পাঠানো হলো। VISA কার্ড যেহেতু যেকোনো ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে। প্রথমে ১০০ ডলার, ২০০ডলার এই ভাবে টাকা উত্তোলনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো Mare এর আইডি থেকে।
১০ হাজার টাকা উত্তোলনের পর ব্যালন্স শুন্য। মাথায় ভারী। এই কথা গুলো জানালেন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক।
শেষ উপায় আদালত।মহানগর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে ৪২০/৪০৬/৫০৬/৩৪ ধারায় প্রতারনার মামলা হয়েছে।মহানগর আদালত পিবিআই পুলিশ কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তদন্ত শেষে পিবিআই ব্যাংকের ফাইল থেকে নথি পত্র নিয়ে আসমীর বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান জমা দেন।
আদালত এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারী করেন,মালামাল ক্রোক করার আদেশ জারী করেন। আদালতের ব্যাপার, আদৌই কি কোন সুরাহা হবে। আসামী তো বাংলাদেশেরই লোক। ভুক্তভোগী কি ফিরে পাবে তার আমানত?
ভিকটিম এই প্রতিবেদককে জানালেন সরকার যদি একটু দৃষ্টি আরোপ করতেন এই প্রতিবদনের প্রতি তা হলে হয়ত সম্ভব নতুবা??? এই ছবি এবং পাসপোর্ট এর কপি মেইলে পাঠিয়ে ভুক্তভুগীর বিশ্বাস জমিয়েছিল।
আদালত আমানত ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দেশে র্যাব বাহিনী এ পর্যন্ত অনেক ঘটনা দূর্ঘটনার সমাধান করেছেন। এটাও সম্ভব বলে মনে করি এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক।