সোমবার | ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
রাঙামাটিতে

বাদাম বিক্রি করে স্বাবলম্বী মোজাম্মেল

প্রকাশঃ ০১ এপ্রিল, ২০১৮ ০৭:৪৪:০৪ | আপডেটঃ ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৫০:১৫  |  ৭৬৬১

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বেঁচে থাকার জন্যই জীবন যুদ্ধ আর এ জীবন যুদ্ধ করতে হয় জীবিকা নির্বাহের জন্য। দু’মুট ভাত পেটে দিতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয় শ্রমজীবী কাজে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’ পায়ে দাড়িয়ে ভাজাপোড়া নিয়ে দিন কাটতে হয়েছে মো.মোজাম্মেল হককে। এই বাদাম বেপারীর বেশীর ভাগ সময় কাটে শহরের বনরুপা,হ্যাপীর মোড় চম্পক নগর রোডে। রাঙামাটি শহরে বাদাম বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মোজাম্মেল হক। সে এখন অন্য দশ জনের মত ভাল ভাবেই চলছেন।
মোজাম্মেলের জন্ম ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার কিতাম্বর পাড়া গ্রামে। সে ওই উপজেলার মৃত মঞ্জুরুল হকের ছেলে। তবে দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে রাঙামাটিতে বসবাস করছে। সে বর্তমানে রাঙামাটি শহরের চম্পক নগরে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় স্ত্রীসহ এক সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। স্বামী স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে তার সংসার। সে আরো জানান,তার স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের মা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অনুভূতি স্বেচ্ছায় প্রকাশ করলেন এই বাদাম বেপারী। ছেলে হউক মেয়ে হউক সে দুটি সন্তানের বেশী নেবে না। এ বাদাম বেপারী ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে অবগত আছেন। এখন থেকে সে ছোট সংসার নিয়ে ভাবছেন।
বাদাম বেপারী মো.মোজাম্মেল হক (৩২)বলেন,সে প্রায়৬-৭ বছর যাবৎ রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বাদাম,সিমের বিচি ও বুট বিক্রি করছেন। বাদাম বিক্রি করেই চলছে তার সংসার। সে প্রতিদিন সকালে বাদাম নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে রাত ১১টায় ঘরে ফিরে যান। প্রতিদিন সে গড়ে দেড় থেকে ২ হাজার টাকার বাদামসহ অন্যান্য ভাজাপোড়া বিক্রি করছেন। বাদাম বেপারী বলেন,তার বাদাম যারা খাবে তারা বার বার তাকে খোঁজ নিবেন কারন তার ভাজাপোড়া অত্যন্ত সুস্বাধু ও মজাদার হয়  তার জন্য বিক্রি বেশী হচ্ছে। তার ভাজাপোড়া পল্লী অঞ্চলের গ্রামীণ পুরাতন পদ্ধতিতে তা করা হচ্ছে। তার ভাজা পোড়া খেতে শহরের দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোক ছুটে আসে চম্পক নগর মোড়ে।
বাদাম বেপারী আরো বলেন,সে দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে বাদামসহ সিমের বিচি চাউল ভাজা ও বুট বিক্রি করে চলছে তার সংসার। সে অন্য দশ জনের চেয়ে ভাল ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বস বাস করছেন। তার সংসারে কোন প্রকান অভাব অনটন নেই বললেই চলে। তবে বুট বাদামের দাম বেশী যদি না হতো তাহলে আরো বেশী লাভবান হওয়া যেত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, তার আচার আচারণ অত্যন্ত ভাল এবং সে একজন সফল বাদাম বেপারী ও বটে। মোজাম্মেল অত্যন্ত ভদ্র ও সহজ সরল ছেলে। দীঘ দিন ধরে চম্পক নগর এলাকায় থাকে তার স্বভাব চরিত্র অনেক ভাল। তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে সবাই তার কাছ থেকে বাদাম ক্রয় করে।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions