শুক্রবার | ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

জগতের সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় রাঙামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন

প্রকাশঃ ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০৩:৪২:৫২ | আপডেটঃ ১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ০৮:৩৩:১৫  |  ১৯৫

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে নানা ধর্মীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের শুভ প্রবারণা বা আশ্বিনী পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। সময় জগতের সুখ শান্তি মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনা করেন।

 

বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) রাঙামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গনে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধ পূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান,হাজার প্রদীপ দান, চিমিতং পৃুজাউৎসর্গক্ষমা প্রার্থনা বিশ্ব শান্তি মঙ্গল কামনায় সম্মিলিত প্রার্থনা সহ নানা দানকার্য সম্পাদন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে যোগ দেয় নানা বয়সীর  হাজারো বৌদ্ধ পূণ্যার্থী। 

 

পূন্যার্থীরা জানান, পৃথিবীর সকল মানুষ যেন শান্তিতে একসঙ্গে বসবাস করতে পারে। হানাহানি বন্ধ হয়। যার যার ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে পারে সেই প্রার্থনা করেছেন তারা।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে পূন্যার্থীদের ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাঙামাটি রাজবন বিহার আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। 

 

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার . এস এম ফরহাদ হোসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান সহ শতাধিক বৌদ্ধ পূণ্যার্থী। 

 

তিন মাস বর্ষাবাস (উপোসথ) পালন করার  পর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। প্রচলিত আছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ এই আশ্বিনী পূর্ণিমায় তার মাথার চুল আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাই আশ্বিনী পূর্ণিমার এই তিথিতে আকাশে উড়ানো হয় শত শত ফানুস। এর মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করা হয়। প্রবারণা পূর্ণিমা শেষে এক মাস ধরে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে বছর নিরাপত্তাহীনতার কারনে পার্বত্য তিন জেলায় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। 

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions