সিএইচটি টুডে ডট কম, কাউখালী (রাঙামাটি)। কাউখালীর বেতবুনিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামীলীগের পাঁচ নেতাকমীর নাম উল্লেখ করে কাউখালী থানায় মামলা হয়েছে। এতে আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কাউখালী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।মামলার বাদী কাউখালী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজাই মং মারমা ও কাউখালী থানার অফিসার ইনচাজ রাজীব চন্দ্র কর এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পর এই প্রথম আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বিরদ্ধে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অংক্যজ চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অভিমং চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থুইসি মারমা, কাউখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান ও ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী মারামাসহ আরো ১৫/২০জন অজ্ঞাতনামা।
পুলিশ ও সংশ্লিস্ট সুত্র জানায়, বেতবুনিয়ার মহাজন পাড়া এলাকায় বসবাসরত কাউখালী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজাই মং মারমার বাড়ীতে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার সময় মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হামলা ও ভাংচুর চালায় এবং প্রান নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত কাউখালীতে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতা কমীরা প্রতিবাদ করতে থাকলে গত সোমবার রাতে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিএনপি নেতা সাজাই মং মারমা জানিয়েছেন , দীর্ঘ ১৮বছর খুনী শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কোন বিএনপি নেতাকর্মী কাউখালী উপজেলা সহ বেতবুনিয়াতে রাতে ভালো ভাবে ঘুমাতে পারেনি। কোন না কোন ভাবে মামলা হামলার স্বীকার হয়েছে। এর আগেও ২০০৯সালে তার সাথে একই ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক মামলা হামলায় দীর্ঘ ১৮টি বছর পার করেছি। এই খুনী হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালালেও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এখনো এলাকাতে প্রভাব বিস্তার করছে। তার প্রমাণ আমার বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয় । এতে করে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
কাউখালী থানা অফিসার ইনচার্জ রাজীব চন্দ্র কর জানিয়েছেন, কাউখালী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজাই মং মারমার বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় কাউখারী থানায় (মামলা নং ০২,তারিখ-২৩.০৯.২০২৪) দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।