সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। গত দুইদিনে উজানের পানিতে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার শেষ প্রান্তে ৩৭ নম্বর আমতলী ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ড বন্যার প্লাবিত হয়ে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। ডুবে গেছে রাস্তা- ঘাট, ফসলি জমি ও বাড়িঘর। কুয়া ও টিউবওয়েল পানিতে ডুবে যাওয়ার দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। পাঁচটি ওয়ার্ডের মানুষের এখন একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি।
এদিকে, নতুন করে আবার পানি উঠতে শুরু করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর, মুসলিম ব্লক, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করোঙ্গাতলীসহ বেশ কিছু এলাকায়।রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের। তবে সদরে আশ্রয়কেন্দ্রে গুলোতে কেউ আসে নাই বলে জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন।
আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের পানি নেমে আসায় ইউনিয়নের পাঁচটি ওর্য়াড বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও ঘর বাড়ি ডুবে গিয়ে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে আনুমানিক প্রায় ৫ শতাধিকের ও বেশি পরিবার। দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পান করছে পানিবন্দির লোকজন। বন্যাকবলিত পাঁচটি ওয়ার্ড হলো- চার নম্বর ওয়ার্ডের আলী নগর, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মাহিল্যা, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া, আট নম্বর ওয়ার্ডের পাকুয়াখালী ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের কবিরপুর।
বাঘাইছড়ি উপজেলার যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথমে শুনে বিশ্বাস হয়নি আমতলী, মাহিল্যায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আজকে উপজেলা প্রশাসনের টিমের সাথে আমতলীর বন্যার কবলিত পাঁচটি ওয়ার্ড গুলো দেখে এসেছি। খুব দুরবস্থা যে পরিমাণ চারিদিকে পানি।অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে অর্ধেক অর্ধেক করে পানিতে ডুবে আছে। লোকজন খাবার পানির সমস্যায় রয়েছে।
৩৭ নম্বর আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, দুই দিন ধরে উজানে পানির নেমে আসায় পাঁচটি ওর্য়াডে আনুমানিক প্রায় ৫ শতাধিকেরও বেশি পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে, স্পিড বোট বা ইঞ্জিন চালিত বোট ছাড়া চলাচল করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কুয়া, টিউবওয়েল সব পানির নিচে। বৃষ্টি আসলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে খাচ্ছে লোকজন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার বলেন, আমতলী, মাহিল্যার দিকে কিছু এলাকা এখনো প্লাবিত রয়েছে। এসি ল্যান্ড ও পিআইওকে পাঠানো হয়েছে দেখে আসার জন্য। তারা ফিরে বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার সহ প্রয়োজনীয় যা যা দরকার সবকিছু দেওয়া হবে।