বুধবার | ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

৯ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে ইসলামী আন্দোলনের রাঙামাটি গণ মিছিল ও সমাবেশ

প্রকাশঃ ০৯ অগাস্ট, ২০২৪ ০৮:৩৫:০২ | আপডেটঃ ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:৪২:৫৪  |  ৪১৩

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত দফা বাস্তবায়নের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটি জেলার গণ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

 

আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুমা জেলা সভাপতি আলহাজ্ব জসিম উদ্দীন এর সভাপতিত্বে ইমাম হোসাইন এর সঞ্চালনায় গণ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটি জেলা সহ-সভাপতি একে এম ইসরাইল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা নূর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, অর্থ সম্পাদক দিদারুল আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ বেলাল হোসেন,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা সভাপতি মুহাম্মদ হোসাইন মল্লিক।

 

দফা প্রস্তাবনা গুলো হচ্ছে ১. অনতিবিলম্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে অনুর্ধ্ব ১৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। যার মেয়াদ মাসের বেশি হতে পারবে না।

 

. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

 

. গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

. তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরে সকল দুর্নীতিবাজ বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

 

. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

 

. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।

 

. নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠ গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (.) চালু করতে হবে।

 

. আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

. উলামায়ে কেরাম জাতির ধর্মীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। তারা উম্মাহর ঈমান-আমল রক্ষায় কাজ করেন। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে থেকে প্রতিনিধি অবশ্যই থাকতে হবে।

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions