কাপ্তাই বিজিবির উদ্যোগে জুরাছড়ির দূর্গম সীমান্তবর্তী পুন্নমনিছড়া পাড়ায় স্কুল ঘর নির্মাণ বান্দরবানের আলীকদম সীমান্ত দিয়ে ৮৪জন মিয়ানমার নাগরিককে পুশব্যক ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোষিত এ প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি রাঙামাটিতে সুজনের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কাউখালী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়সভা
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পুলিশ সদস্য হত্যার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে ছিল বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। গত সোমবার দুপুরে সরকার পতনের পর রাঙামাটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপায় অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সেও ভাঙচুর করা হয়েছে আনন্দ মিছিল থেকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আর কর্মস্থলে যাননি রাঙামাটির পুলিশ সদস্যরা। অবশেষে ৩ দিন পর শুক্রবার থেকে কর্মস্থলে ফিরেছে পুলিশ সদস্যরা।
ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাফিক বক্স সংস্কার করে সেখানেও ডিউটি পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। শুক্রবার দুপুর (৯ আগস্ট) থেকে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় দায়িত্বপালন শুরু করেছেন ওসি মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা। জানা গেছে, জেলার ১২টি থানা ও অন্যান্য ফাঁড়িগুলোতেও কর্মস্থলে ফিরেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলী জানান, শুক্রবার থেকে থানা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও অপারেশনের পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে আসছেন। অন্যান্য থানাগুলোতেও পুলিশ সদস্যরা কাজে ফেরার খবর পেয়েছি। রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, শুক্রবার দুপুর থেকেই রাঙামাটির ১২টি থানায় পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে ফিরেছেন। ট্রাফিক বিভাগও দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাহিনীর সংস্কার দাবিতে ১১ দফা দাবিতে রাঙামাটির পুলিশ লাইনসে বিক্ষোভ করে পুলিশ সদস্যরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কাজে ফিরবে না তারা। কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পর্যন্ত নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যরা ওই বিক্ষোভে পুলিশের উচ্চপদস্থ বিসিএস কর্মকর্তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ হন।