নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: -ধর্ম উপদেষ্টা রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন বান্দরবানের ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালককে অপসারণের দাবি রাঙামাটিতে ২ দিনের আয়কর মেলার উদ্বোধন বান্দরবানে ৮৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করলো এপিবিএন
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির সাজেকের বাঘাইহাটে পরিবহন শ্রমিক মো. নাঈম হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউপিডিএফের তিন সহযোগী সংগঠন। সম্মেলন থেকে অভিযোগ এসেছে, খুনিদের রক্ষার চেষ্টায় ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাঙামাটি জেলা সদরের কুতুকছড়িতে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা।
এতে পিসিপি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দীপায়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপনা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক নিকি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক থুইনুমং মারমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তন চাকমাসহ তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত ৯ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধভাবে প্রভাব খাটানোর জন্য ঠ্যাঙাড়ে (জেএসএস-এমএন লারমা ও ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) বাহিনীর ৫০ জনের মতো সশস্ত্র সদস্য বাঘাইহাটে অবস্থান করে। বাজারে অবস্থানকালে সশস্ত্র সদস্যরা গ্রামবাসীদের ওপর হয়রানি ও জুলুম চালায়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিরোধ করলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সংঘর্ঘে গুলিতে গাড়ি চালক হেলপার নাঈম নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৩ সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, পরিবহন শ্রমিক নাঈম হত্যার জড়িত খুনি ঠ্যাঙাড়েদের রক্ষার চেষ্টায় ইউপিডিএফ ও গণসংগঠনের ১৫ নেতাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। এখন যৌথ অভিযানের নামে নিরীহদের গ্রেপ্তার করতে সাজেকে অভিযানে নেমেছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ৬ দফা দাবি জানায় তিন সংগঠনের নেতারা। দাবিসমূহ হলো- 'ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাজানো' নাঈম হত্যা মামলা থেকে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমাসহ ইউপিডিএফ ও গণফ্রন্টভুক্ত নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহার করতে হবে; সন্ত্রাসী ধরার নামে সাজেকে চলমান যৌথ অভিযানের 'নাটক' বন্ধ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে; ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান বন্ধ ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দিতে হবে; সাজেকে জনপ্রতিনিধি, পাহাড়ি-বাঙালি ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে হুমকি বন্ধ করতে হবে; বাঘাইহাট বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে ও বাঘাইহাটে স্থানীয় বাঙালি ও ব্যবসায়ীদের দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ভেঙে দলটির একটি অংশ তপন জ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে নতুন দল গড়ে। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও জেএসএস (এমএন লারমা)-কে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী হিসেবে অভিহিত করে আসছে প্রসিত খীসার ইউপিডিএফ।