সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বহুল আলোচিত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণের মামলা আদালতে খারিজের প্রতিবাদে ও চিহিৃত অপহরণকারীদের বিচারের দাবীতে বুধবার রাঙামাটিতে পৃথক দুটি স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক আশিকা চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে দেন কল্পনা চাকমার মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান,আইনজীবী সুম্মিতা চাকমা ও এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা,পিসিপির জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য এনু মারমা। লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সমাবেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ভদ্রা দেবী তঞ্চঙ্গ্যা। এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল জেএসএসের জেলা শাখার কার্যালয় থেকে শুরু করে বনরুপা এলাকা ঘুরে জেলা প্রশাসন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৮ বছর পর আমরা শুনতে পাচ্ছি কল্পনা চাকমা অপহৃত হয়েছিলেন সত্যি কিন্তু কারা জড়িত তদন্তকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র সেখানে অপরাধীদের খোঁজ পাচ্ছে না। রাষ্ট্রের চোখে ঠুলি পড়েছে। রাষ্ট্র না দেখে অন্ধ হয়ে গেছে। এটা কি স্বাধীন বাংলাদেশ? এটা বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে এসব ঘটনা ঘটনাগুলো আরো বেড়ে যাচ্ছে। সমাবেশ বক্তার অবিলম্বে কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে আদালতের খারিজের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার ঘোষনা দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন প্রথম প্রহরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা লাইল্যা ঘোনা বাড়ী থেকে কল্পনা চাকমা অপহৃত হন। পরদিন বাঘাইছড়ি থানায় তার বড় ভাই কালেন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে অপহরনের মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ মামলাটি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলার পর গত ২৩ এপ্রিল রাঙামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা মামলাটি খারিজ করে দেন।