ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে তৌহিদী মুসলিম জনতার বিক্ষোভ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: -ধর্ম উপদেষ্টা রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন বান্দরবানের ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালককে অপসারণের দাবি রাঙামাটিতে ২ দিনের আয়কর মেলার উদ্বোধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়ার অন্যতম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক কমরেড শহীদ আব্দুল রশিদের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে রাঙামাটি জেলা শহরের রিজার্ভবাজারে অবস্থতি স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ আব্দুল রশিদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত নেতবৃন্দ।
পরে জেলা শিশু একাডেমিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, জেলা সিপিবির সভাপতি সমীর কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক অনুপম বড়ুয়া শংকর, জেলা উদীচীর সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, জেলা যুব ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আশীষ দাশগুপ্ত, সাবেক সভাপতি এম জিসান বখতেয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল রশিদ স্মৃতি সংসদের সহ-সভাপতি আবু সাদাৎ মো. সায়েম, শহীদ আব্দুল রশিদের ছেলে মোস্তফা রশিদ রনি, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রান্ত রনি, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নিউটন চাকমা প্রমুখ।
সভার সঞ্চালনা করেন জেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সান্টু দেব।
এসময় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল রশিদকে হত্যার ৩৪ বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির আজকে নতুন নয়। এসময় তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জোর দাবি করেন। একই সঙ্গে রশিদের হত্যাকারীদের বিচারও দাবি করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ৪ জুন বনরূপার নিজ পত্রিকা অফিস সাপ্তাহিক পার্বত্য বার্তার অফিসের ভেতরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন এই নেতা। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক নেতা, পরে রাঙামাটি জেলা যুব ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছিলেন চবির সিনেট সদস্যও।