ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে তৌহিদী মুসলিম জনতার বিক্ষোভ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: -ধর্ম উপদেষ্টা রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন বান্দরবানের ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালককে অপসারণের দাবি রাঙামাটিতে ২ দিনের আয়কর মেলার উদ্বোধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। গুলিতে আহত রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোমং মারমা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। গত ২১ মে মঙ্গলবার রাতে তিনি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিলাইছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ
আখতার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান আতোমং মারমা গতরাতে
মারা গেছেন বলে খবর
পেয়েছি।
বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম
তঞ্চঙ্গ্যা শুক্রবার ভোরে মুঠোফোনে বলেন-
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার কিছু
সময় পরে আতোমং মারমা
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। শুক্রবার
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় ময়না তদন্ত
শেষে তাঁর মরদেহ বড়থলি
ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়া হবে।
২১ মে বিলাইছড়ি উপজেলা
পরিষদের নির্বাচন শেষে তিনি বড়থলি
ইউনিয়নের বড়থলি মারমা পাড়ায়
এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওই
সময় অজ্ঞাত সন্ত্রসীরা তাকে
গুলি করে পালিয়ে যায়। তিনি
হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ
হন।
গুলিবিদ্ধ হবার পরপরই তিনি
উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যাকে ফোন করে বলেছিলেন,
‘‘স্যার আমাকে গুলি করা
হয়েছে। আমি
বাঁচব নাকি মারা যাব
জানি না। আমাকে
আর্শীবাদ করবেন’’।
বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব
ড্যানিশ চাকমা বলেন, চট্টগ্রামের
পাঁচলাইশ থানায় ময়না তদন্ত
শেষে চেয়ারম্যান মহোদয়ের মরদেহ বান্দরবানের রুমায়
নেয়া হবে। শনিবার
বিলাইছড়ির বড়থলিতে তাঁর দাহক্রিয়া সম্পন্ন
করা হবে।