বুধবার | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
লংগদুতে জোড়া খুন

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আধাবেলা অবরোধ পালন, পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা

প্রকাশঃ ২০ মে, ২০২৪ ০২:০৬:০৫ | আপডেটঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৪৭:৪৫  |  ৫৮৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ইউপিডিএফ কর্মীসহ রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দুজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে আধাবেলা অবরোধ পালন করেছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সোমবার (২০ মে) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

কর্মসূচি সফল করতে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি যৌথখামার ও বেতবুনিয়া এলাকা; রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক ও বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালি পর্যটন সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার ও গাছের গুঁড়িতে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এরমধ্যে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাপছড়ি যৌথখামার এলাকায় ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের বেতছড়ি সোনারাম কার্বারি পাড়া (১৮ মাইল) এলাকায় পিকেটিংয়ে সংগঠনটির নারী কর্মীদের সক্রিয়তা দেখা গেছে। তবে সড়ক ও নৌ- উভয়পথে অবরোধ কর্মসূচি থাকলেও নৌ-পথে তেমন প্রভাব পড়েনি।

অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে বেলা ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করেনি। এদিন সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যৌথখামার পুলিশের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ায় নেতাকর্মীরা। অবরোধে জেলায় বড় ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৯০০ সালের শাসনবিধি বা চিটাগাং হিলট্র্যাক্টস রেগুলেশন বাতিলের সরকারের যে ষড়যন্ত্র তার বিরুদ্ধে এবং বান্দরবানে বম জাতিসত্তার ওপর অন্যায় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ যখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে, ঠিক সে সময় সন্তু লারমা তার সন্ত্রাসীবাহিনীকে দিয়ে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে সন্তু লারমা সরকারের কৃপা লাভ করে আঞ্চলিক পরিষদের গদি আঁকড়ে থাকতে চাচ্ছেন।” বিবৃতিতে এই ইউপিডিএফ নেতা অবরোধ কর্মসূচি ‘সফল’ করতে রাঙামাটির বাস-ট্রাক-লঞ্চ মালিক-শ্রমিক সমিতি, সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৮ মে) সকালে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বড়হাড়িকাবা এলাকায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক (গ্রামবাসী) ধন্যমনি চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেএসএস।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘অবরোধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকালে সাপছড়ি যৌথখামার এলাকায় অবরোধকারীরা; বিশেষত নারী কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে ব্যারিকেড দেয়। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে যানবাহন স্বাভাবিক করে দিয়েছে। নেতাকর্মীরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে স্লোগান দেয়। কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।’


রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions