বুধবার | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সফল প্রথম সিজার

প্রকাশঃ ০২ মে, ২০২৪ ০৪:৪০:০৯ | আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:১১:১৯  |  ৪৯২

মেহেদী হাসান সোহাগ,সিএইচটি টুডে ডট কম, কাউখালী (রাঙামাটি)হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হলো অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বৃহস্পতিবার ( মে) দুপুরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কছুখালী গ্রামের প্রুইখইউ মারমার স্ত্রী নুবাইছিং মারমা প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয় এতে ওই প্রসূতি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন বর্তমানে মা নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন


উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুইমেপ্রু রোয়াজা বলেন, হাসপাতালে প্রথম অস্ত্রোপচার হয়েছে মা নবজাতক সুস্থ আছে সিজারিয়ান অপারেশন এটা অব্যাহত থাকবে এটা কাউখালী উপজেলা বাসীর জন্য অনন্দের চিকিৎসক নানা সরঞ্জামাদির অভাবে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল সংকট কাটিয়ে সেটি আমরা চালু করতে সক্ষম হয়েছি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি


সফলতায় হাসপাতালের সব ডাক্তার নার্সরা সহযোগিতা করেছেনতিনি আরও বলেন, অপারেশন থিয়েটার থেকে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেয়া হচ্ছে প্রথম সফল এই সিজার করেন প্রভেসর মাসুদুর রহমান, স্ত্রী প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সহযোগী ছিলেন,ডাঃ নুসরাত জাহান আজমী,ডাঃ হ্যাফী বিশ্বাস, আর এমও ডাঃইফতেখার আহম্মেদ ফরহাদ


জানা গেছে, ১৯৭৯-৮০ সালের দিকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা সদরে মোট একর ৫৬ শতক জমির উপর ১০ শষ্যা বিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি স্থাপিত হয় বর্তমানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধন হলেও ১০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় জনবল সংকট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু ছিল না গাইনি ডাক্তার থাকলেও অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ থাকে না আবার অ্যানেস্থেসিয়া থাকলে গাইনি ডাক্তার থাকতো না সমন্বয়ের অভাবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এতদিনে অপারেশন থিয়েটার অচল পড়েছিল সম্প্রতি সংকট সমাধান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন থিয়েটারটি চালু করে


স্থানীয়রা জানান, কোন প্রসূতি মায়ের সিজারের প্রয়োজন হলে আগে রাঙামাটি সদর অথবা চট্টগ্রাম যাওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় ছিল না বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থা চালু করায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা পাওয়া যাবে


হাসপাতালে প্রথম অস্ত্রোপচারে জন্ম নেয়া শিশুটির বাবা প্রুইখইউ মারমা বলেন, প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম কারণ হাসপাতালে প্রথম সিজার এটি সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই উপকৃত হয়েছি অন্য কোথায়ও সিজার করলে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হতো কিন্তু হাসপাতালে ফ্রি সেবা পেয়েছি এমন কাজের পুরো কৃতিত্বই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুইমেপ্রু রোয়াজা প্রতি

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions