সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বন্ধ থাকায় বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে, বাড়ী ঘর ফেলে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা এখন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সারাদিন কোন গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি এবং আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে এখনো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কোন গোলাগুলির আওয়াজ পায়নি স্থানীয়রা।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু ঘুমধুমের ওপারের তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া ক্যাম্প দুটি মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টির দখলে চলে যাওয়ায় পরে সেখানে এখন গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গতকাল এবং আজকে সকাল হতে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা অনেকটা স্বাভাবিক আছে, গোলাগুলির তেমন কোনও শব্দ শোনা যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়ের বাড়ীতে চলে যাওয়া বাসিন্দারা এলাকায় ফেরত আসছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০০জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদ্যকে টেকনাফে নিয়ে গেছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু থেকে তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১০০জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে নেওয়া হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবাইকে সরিয়ে নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, আগামী ১৫ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫শত ৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে এবং পরীক্ষা চলাকালীন যদি সীমান্তে আবারোও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তবে কেন্দ্রটি পরিবর্তন করে ১নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান,সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল আরো জোরদার করা হয়েছে।