ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামে বানিজ্যিকভাবে মৌ চাষ করে মধু উৎপাদন করবে বাসা (বাংলাদেশ ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট) ফাউন্ডেশন। এ অঞ্চলের মধু দেশের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানির ব্যবস্থা করবে বাসা।
রোবববার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে “টেকসই মৌচাষ উন্নয়ন এবং মৌপন্য বিপণনের মাধ্যমে মৌচাষীদের আয় বৃদ্ধিকরণ: প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা সভায় এ কথা বলেন বাসার কর্মকর্তারা।
বাসার কর্মকর্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মৌ চাষের বিপুল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সঠিক গাইড লাইন ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ চাষ সম্প্রসারণ হতে পারছে না। এসব সংকট দুর করে মৌ পালন, মধু আহরণ নিয়ে চাষীদের প্রশিক্ষিত করতে বাসা কাজ করবে।
জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাসার নির্বাহী পরিচালক আ.ক.ম সিরাজুল ইসলাম, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মৌ চাষী স্মরবিন্দু চাকমা, রবিন চাকমা, ম্রাচিং মারমা, সাংবাদিক নন্দন দেবনাথসহ আরো অনেকে। কর্মশালা শুরুতে মৌ চাষ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌ চাষের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতার উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাসার ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মো. রেজাউল করিম।
আয়োজকরা জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে মৌ চাষীদের আয় বৃদ্ধি করণের মাধ্যমে দারিদ্র দুর করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি জেলার সদর, বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলায় ৭০ জন মৌ চাষী এবং ১১২৫ জন মৌ ফসল উৎপাদনকারী, খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, গুইমারা, দিঘীনালা, পানছড়ি, মাটিরাংগা, মহালছড়ি উপজেলায় ১২৫ জন মৌ চাষী এবং ২৫৫০ জন মৌ ফসল উৎপাদনকারী বান্দরবান জেলায় সদর, রোয়াংছড়ি এবং আলীকদম উপজেলায় ২৩০ জন মৌ চাষী এবং ৯০০ জন মৌ ফসল উৎপাদনকারীসহ মোট ৪২৫ জন মৌ চাষী এবং ৪৫৭৫ জন মৌ ফসল উৎপাদনকারীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাসা ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সাপোর্ট দেবে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং ইফাদ।