ঈদেও ফাঁকা বান্দরবানের বিনোদন কেন্দ্র

সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। যে কোন সরকারি বন্ধ,ঈদ,পূজা আর নতুন বছরের শুরু ও বিদায়সহ বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে বান্দরবানে ঢল নামে পর্যটকদের। প্রতিবছর ঈদের এই দিনে পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকে বান্দরবানের মেঘলা,নীলাচল,নীলগিরি,শৈলপ্রপাত, চিম্বুকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। হোটেল-মোটেলগুলোতেও তীল ধারণ ঠাই না থাকলে এবার ঈদের আনন্দের চিত্রটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। করোনা মহামারির কারণে বন্ধ রয়েছ জেলার সকল বিনোদনকেন্দ্র আর এই কারণে বান্দরবানে এবার দেখা মেলেনি পর্যটকদের, ঈদে পর্যটকরা ঘুরতে না আসায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো পড়ে আছে প্রাণহীন অবস্থায়,নেই কোলাহল, নেই উৎসবের কোন আমেজ।

প্রতিবছর ঈদের এই সময়ে প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের ভীড়ে কয়েকদিন জাঁকজমক হয়ে ওঠে পুরো জেলা কিন্তু চলমান লকডাউন আর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় এবারের ঈদ অনেকটা মলিন হয়ে গেছে পর্যটকদের কাছে।

বান্দরবান জেলা সদরের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, প্রতিবছর ঈদে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নীলাচল ও মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমন করি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি সারাদিন আনন্দ উদযাপন করি, কিšু‘ করোনার ছোবলে আমরা এখন গৃহবন্ধি।

বান্দরবান জেলা সদরের নিউগুলশান এলাকার বাসিন্দা মো.ওমর ফারুক বলেন,ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি, তবে গত বছর ও এবছর ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারছি না ভালোভাবে,কেননা বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ তাই কোথাও ঘুরতে পারছি না, সেই সাথে যারা আত্মীয় স্বজন বান্দরবান আসতে চাইছে তাদের নিয়ে কোথাও ভ্রমন  করতে পারছি না।

বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক আদিব বড়–য়া বলেন,বিভিন্ন বন্ধের পাশাপাশি প্রতিবছরই ঈদে প্রচুর পর্যটক এর আগমন ঘটে নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে। আমরা প্রচুর টিকেট বিক্রি করতে পারি এবং পর্যটকরা এই নীলাচলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে আবারও ঘুরতে আসে নীলাচল পর্যটনে তবে করোনার কারণে এবার পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ এবং পর্যটকদের দেখা নেই,গেইটে তালা ঝুলিয়ে বসে আছি।

বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন,বান্দরবানের জেলা প্রশাসন থেকে সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার নিদের্শনা প্রদানের পর থেকেই বান্দরবানে কোন পর্যটক এর আগমন হচ্ছে না এবং কোন পর্যটক হোটেল-মোটেলে না আসায় আমরা বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল বন্ধ করে কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ আরো বলেন,প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে আমরা জাঁকজমক ব্যবসা করি এবং সারা বছরের বেশিরভাগ মুনাফা এই সময়ে সংগ্রহ করার চেষ্টা করলে ও এবারের ঈদে বান্দরবানে নেই কোন পর্যটক।

এদিকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১লা এপ্রিল থেকে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে এবং এরপরপরই বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন নেই বললে চলে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন,করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়ে আসলে এবং সংক্রমণ কমে আসছে আমরা আবার বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেব এবং পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেব।