জেলা পরিষদ থেকে হত্যা মামলার আসামী, আওয়ামীলীগের দোসরদের প্রত্যাহারের দাবি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বান্দরবানে জেলা বিএনপি’র জনসমাবেশ এনসিটিএফের রাঙামাটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত লংগদুতে ফেলে যাওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদ পুলিশকে দিলো বিজিবি কাপ্তাই বিজিবির উদ্যোগে জুরাছড়ির দূর্গম সীমান্তবর্তী পুন্নমনিছড়া পাড়ায় স্কুল ঘর নির্মাণ
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য নিয়োগে অনিয়ম বৈষম্যের প্রতিবাদে সদস্য পদ থেকে বাদ পড়া চার উপলাবাসীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরের আদালত পাড়া সংলগ্ন একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে প্রত্যন্ত চার উপজেলাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুরাছড়ি উপজেলাবাসীর পক্ষে এডভোকেট রাজীব চাকমা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,রাজস্থলীর রনজিত তঞ্চঙ্গা ও এডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গা,কাউখালীর জসিম উদ্দিন, ললিত চন্দ্র চাকমা ও মোঃ তারা মিয়া, বরকল উপজেলার পুলিন বিহারী চাকমা ও এমদাদ হোসেনসহ আরো অনেকে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোষিত এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, হত্যা মামলার পলাতক আসামী,ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন,জনবিচ্ছিন্ন লোকজন দিয়ে অন্তর্বর্তীকালিন জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল চারটি উপজেলা বাদ দিয়ে এই পরিষদ গঠন করা হয়। যাদেরকে সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ২-১জন বাদে সবাই জনবিচ্ছিন্ন ও অযোগ্য। পার্বত্য উপদেষ্টার নিকটতম আত্বীয়স্বজন দিয়ে সাজানো হয়েছে জেলা পরিষদ। একই পরিবার থেকে দু’জনকে দেওয়া হয়েছে সদস্য পদ। হত্যা মামলার আসামী প্রনতি রঞ্জন খীসা জেলা পরিষদ সদস্য পদ পেয়েছেন।
রাঙামাটি জেলার কাউখালী,বরকল,রাজস্থলী ও জুরাছড়ি এই চারটি উপজেলায় কোন সদস্য দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানাবো মেধাবী ও যোগ্য সদস্য নিয়োগ দিয়ে দ্রæত এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ফের নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হউক। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমাদের দাবি সমূহ মেনে নেওয়া না হয় তাহলে চার উপজেলাবাসী মিলে কঠোর আন্দোলন দিতে বাধ্য হবো। আমরা আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে এই বিষয়টি পরিস্কার করে জানিয়ে দিতে চাই।
গত
৭ নভেম্বর ২০২৪ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাছলিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে (নং
২৯.০০.০০০০
.০০০. ২১৪.১৮ .০০২২.২৪.-১১৯) অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্নগঠন করা হয়। রাঙ্গামাটি জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র ৬টি উপজেলায় ১৫ জন প্রতিনিধিদের নিয়োগ দিয়ে কাউখালী, বরকল,জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোন প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সাথে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করায় আমরা মর্মাহত।
সাংবাদিক সন্মেলনের বক্তারা বলেছেন এ ধরনের বিতর্কিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্ন্তবর্তীকালীন পুনর্গঠিত পরিষদকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। আমরা জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত- উল্লেখ্য যে,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা রাঙামাটি সদর উপজেলা হতে ৯ জন সদসকে রেওয়াজ বহিভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করে স্বজনপ্রীতি ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অধিকন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে এলাকাবাসীর অর্জিত আইনগত অধিকার হরন করেছেন।