সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। শারদীয় দূর্গাপূজা বিজয়া দশমী উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের বিজয়া দশমীর টিকা লাগাউনে উৎসব (বড়রা ছোটদেরকে আর্শিবাদ দেওয়া) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা দশমীর অঞ্জলী প্রদান শেষে গুর্খা সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে এই উৎসব চলে।
আর এরই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটির জেল রোডস্থ সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয় ভবনে মোমবাতি প্রজননের মাধ্যমে রাঙামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের টিকা লাগাউনে উৎসব (বড়রা ছোটদেরকে আর্শিবাদ দেওয়া) পালন করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রণেল চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল, নাট্য পরিচালক আশিক সুমন, সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খাসহ গুর্খা সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
এসময় বক্তারা বলেন, রাঙামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে চলার পথ দেখাতে হবে। যাতে করে এই নতুন প্রজন্ম গুর্খা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উৎসব ও আচার অনুষ্ঠান যথাযথ ভাবে উৎসব মুখর ভাবে পালন করতে পারে। এতে করে গুর্খা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে বহমান থাকবে।
বক্তারা আরো বলেন, আদিকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ শারদীয় দূর্গা উৎসবের দশমীর দিনে এই ‘টিকা লাগাউনে উৎসব’ পালন করে আসছে। এই উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সৌহাদ্য উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে গুর্খা সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে কপালে টিকা দিয়ে এবং অতিথি আপায়ন করিয়ে নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান পালনের মধ্যদিয়ে টিকা লাগাউনে (বড়রা ছোটদেরকে আর্শিবাদ দেওয়া) উৎসব পালন করা হয়।