মঙ্গলবার | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

পাহাড়ে মৎস্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নয়-ছয় না করার আহবান অংসুইপ্রু চৌধুরীর

প্রকাশঃ ১৭ জুন, ২০২২ ০৭:৩০:১০ | আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:৪৩:৪৬  |  ৬৩৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য এলাকায় সম্প্রসারিত মৎস্য চাষ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নয়-ছয় না করার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, 'একনেকের সবগুলো প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অনুমোদিত হয়। পার্রত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। তাই আমরা বলতেই পারি, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে আন্তরিক। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে নয়-ছয় যেন না হয়, ভালোভাবে যেন বাস্তবায়ন হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।'

আজ শুক্রবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এনেক্স মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার ক্যাম্পেইন বিষয়ক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা মৎস্য বিভাগের আহবায়ক আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। এতে প্রকল্পবিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন। বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, মাছচাষী সনজিত তঞ্চঙ্গ্যা, সহকারী শিক্ষক ক্যথোয়াইপ্রু রোয়াজা, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, রাজস্থলীর ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সাবেদুল হক, বাঘাইছড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নবআলো চাকমা, লংগদু উপজেলার মাছচাষী মো. কামাল হোসেনসহ অনেকেই।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী আরও বলেন, পাহাড়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, চ্যালেঞ্জও করেছে। আবার পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে যদি খারাপ পোনা ছাড়েন তাহলে মাছ খুঁজেও পাবেন না। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ত্রুটিবিচ্যুতি হয়ে থাকে তাহলে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রকল্প পরিচালককে আহবান জানাব।

সহকারী শিক্ষক ক্যথোয়াই প্রু রোয়াজা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বাস্তবায়ন হচ্ছে, কিন্তু টেকসই হচ্ছে না। এরই কারণ হিসেবে আমরা যদি দেখি, যারা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের জবাবদিহিতা কম, তাই কার্যকরী হচ্ছে না। তিনি বলেন, বাঁধ দিয়ে তৈরি ক্রিকে হাঁস পালনও করা যায়। আমাদের এলাকায়ও কয়েকটি ক্রিক পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। সেবাপ্রদানকারী ও গ্রহীতাদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে, এটি কমানো দরকার। উন্নয়ন বাস্তবায়নের তৃণমূল হলেন সাধারণ চাষীরা। কিন্তু সংকোচের কারণে সাধারণ মানুষ কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন না।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির অধীনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ২৬টি উপজেলায় ৮১৪টি ক্রিক উন্নয়ন করার উদ্যোগ রয়েছে। চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পের সময়সীমার দুই বছর অতিক্রম হলেও এখনো ৫০ শতাংশ কাজও সমাপ্ত করা যায়নি। অবশ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন কোভিডের কারণে তারা ঠিকমত কাজ করতে পারেনি।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions