শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
রাঙামাটিতে হেডম্যান সম্মেলন অনুষ্ঠিত

হেডম্যানদের অফিস ও সম্মানী বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে : পার্বত্যমন্ত্রী

প্রকাশঃ ১৬ জুন, ২০২২ ০২:৫৬:৪৩ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৯:৫৭  |  ৯০০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সিএইচটি হেডম্যান নেওয়ার্কের আয়োজনে তিন পার্বত্য জেলার হেডম্যানদের নিয়ে রাঙামাটিতে হেডম্যান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনষ্টিটিউটে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি।

এসময় পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৭ সনে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া, শেখ হাসিনার সরকারই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। তিনি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পাহাড়ে উন্নয়নে হেডম্যান কার্বারীদের অংশীদার হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সব কিছুতে চাঁদা বন্ধের ব্যাপারে হেডম্যানদেরও ভুমিকা রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, হেডম্যান, কার্বারী, সার্কেল চীফ ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে তাহলে পাহাড়ে ভুমিসহ অনেক সমস্যার সমাধান হবে। হেডম্যান কার্বারীরা সরকারের একটি অংশ তাদেরও অনেক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে, কোন সমস্যা দেখা দিলে এটি আলোচনা করে সমাধান করা যায়। অনেক হেডম্যান রয়েছেন তার এলাকায় কতুটুকু জমি রয়েছে, কতটা স্কুল-কলেজ রয়েছে সেটি জানে না, কোন তথ্য চাইলে তারা দিতে পারেন না, তাই সকল হেডম্যান ও কার্বারীকে নিজের এলাকা সর্ম্পকে ধারণা রাখতে হবে। শুধু বছরে একবার সম্মেলন করে দাবি দাওয়া করলে হবে না, এলাকার জনগণের জন্য উন্নয়ন কাজ করতে হবে, সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। কেবল শেখ হাসিনার সরকারই পাহাড়ে শান্তি সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক।

তিনি সম্প্রদায় ভিত্তিক বিয়ে ও সম্পত্তির অংশীদার বিষয়ে কিভাবে আইন করা যায় সে বিষয়ে নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিতে আহবান জানান। ঐক্যমত হলে সরকার মুসলিম আইনের মত বিবাহ ও সম্পত্তি বন্টনের আইনও করবে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের মেয়েরা বাবার সম্পত্তির ভাগ পায় না। আমি মনে করি ছেলের মতো মেয়েরাও বাবার সম্পত্তির ভাগ দেয়া উচিত।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর সভাপতি কংজরী চৌধুরীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিংইয়ং ম্রো, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান, মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, নারী হেডম্যান কার্বারি নেটওয়ার্কের সভাপতি জয়া ত্রিপুরা, এএলআরডি এর উপ-পরিচালক মিজ রওশন জাহান মনি।

পার্বত্যমন্ত্রী হেডম্যানদের দাবির প্রেক্ষিতে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক,  তিন পার্বত্য জেলায় হেডম্যানদের জন্য অফিস ও জনবল নিয়োগের বিষয়টি তার নলেজে আছে, আলাদা একটি প্রকল্প গ্রহণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে চাকমা সার্কেল ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, আঞ্চলিক পরিষদ থেকে পাঠানো সংশোধিত ভুমি কমিশন এর বিধিমালা সরকার অনুমোদন করলে ভুমি কমিশন দ্রুত কাজ করতে পারবে। এছাড়া তিনি পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিয়ে ও সম্পত্তির মালিকানার বিষয়ে সম্প্রদায় ভিত্তিক আলাদা আইন করার দাবি জানান। এজন্য তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের সাথে বৈঠক করতে অনুরোধ করেন।

সম্মেলনে তিন পার্বত্য পার্বত্য জেলার হেডম্যানরা তাদের জন্য নিজস্ব অফিস, জনবল ও সম্মানী বৃদ্ধির দাবি জানান।

সম্মেলনে তিন শতাধিক হেডম্যান  উপস্থিত ছিলেন।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions