সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নুরুল আমিন বলেছেন, বর্তমান সরকার সমতলের মত পার্বত্য অঞ্চলেও সুষম উন্নয়ন করছে, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে সরকার চলতি অর্থ বছর ৯১৫কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। সে সব বরাদ্দে যাতে পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষসহ সবাই উপকৃত হয় সেই বিষয়টির প্রতি আমাদের দৃষ্টি থাকবে। কাজ করতে গিয়ে যে সব সমস্যার সম্মুখীন হন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা সে সব বিষয়ে সমন্বয়ের উপর জোর দেন পার্বত্য সচিব।
আজ রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
পার্বত্য সচিব আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারনে দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য এলাকা এখন যে সব বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছে সে সব বিষয়গুলো চিহিৃত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উপর জোর দিয়ে বলেন, দেশ এসব সেক্টর এগিয়ে গেলেও পার্বত্য এলাকা পিছিয়ে রয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহম্মদের সঞ্চালনায় এতে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) শাহীনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। এসময় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে অভিযোগ করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, শান্তি চুক্তি মোতাবেক জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগগুলোর কার্যক্রম বিষয়ে ২০১৬ সনে প্রবিধান প্রণয়ন করে মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হলেও সেটি এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। শান্তি চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগগুলো জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে চলবে কিন্তু দেখা যায় বিভিন্ন সময় জেলা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়, এতে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত না হওয়ায় অনেকে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আসে না এতে তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সর্ম্পকে আমরা জানতে পারছি না।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, শান্তি চুক্তি ও জেলা পরিষদ আইনে হস্তান্তরিত বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর শুন্যপদে নিয়োগ জেলা পরিষদ করবে কিন্তু অনেক হস্তান্তরিত বিভাগ সেগুলো মানছে না।
এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানদের পক্ষে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমা বলেন, উপজেলা পরিষদগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে হওয়ায় পার্বত্য জেলা পরিষদ কিংবা পার্বত্য মন্ত্রনালয় থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা কোন সহযোগিতা পায় না, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে উপজেলা পরিষদকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।