পাহাড়ে উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি না করে সহযোগিতা করার আহবান বৃষ কেতু চাকমার

প্রকাশঃ ০৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০৯:০৩:৫৮ | আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৮:৪৩:৫২

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি না করে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি হওয়ায় পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। যার ফলে এখান থেকে মন্ত্রী, এমপি এবং আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদের সদস্য হচ্ছে। এটি চুক্তিরই প্রতিফলন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের মানুষের প্রতি খুবই আন্তরিক। পাহাড়ের যে কোন উন্নয়ন কাজে তিনি সহমত পোষন করেন। চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিকতার সাথেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বিরোধীতা না করে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।  
মঙ্গলবার (৩এপ্রিল) সকালে রাঙামাটির দূর্গম জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএস সি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের শান্তশীল দেওয়ান ট্রাষ্ট কর্তৃক মেধা ভিত্তিক এককালীন বৃত্তি প্রদান ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জুরাছড়ি উপজেলার জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল কে এম ওবাদুল হক পিএসসি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য রঞ্জিত দেওয়ান ও মিতা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন বনযোগীছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেঘবর্ণ চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা থাকতে হবে তবেই শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারবে।
তিনি বলেন, নিজের সন্তানের ন্যয় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হবে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরাই এ দেশ পরিচালনা করবে। এখন থেকেই তাদের সেভাবে আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মানউন্নয়নে জেলা পরিষদ হতে ৪র্থ ও ৭ম শ্রেণী মেধা বৃত্তি চালু করা হয়েছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, এ জেলায় চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার’সহ যেসকল কর্মকর্তার শুন্যপদগুলো অপূরন রয়েছে সেগুলো আগামীতে তোমরাই পূরন করবো। এখান থেকেই উচ্চ শিক্ষা লাভ করে এ এলাকার পিছিয়ে পরা মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তাই এখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করো আগামীতে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, বড় কর্মকর্তা হওয়ার।
পরে বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions