প্রকাশঃ ১৭ জুন, ২০১৮ ০৫:০২:৫১
| আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:০২:২৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি ও স্বর্ণমন্দিরসহ রয়েছে অসংখ্য পর্যটন স্পট। প্রত্যেকটা স্পটেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য। আর এ সৌন্দর্যের টানে আকৃষ্ট হয়ে প্রতি বছরই ঈদের সময় পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয় বান্দরবানের এ পর্যটন স্পটগুলো। কিন্তুু এ বছর ঈদে পর্যটকের উপস্থিতি অনেকাংশে কম, ফলে জমে ওঠেনি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
পর্যটন কেন্দ্র ও হোটেল মোটেল সরিজমিনে দেখা গেছে, মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেকসহ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক নেই বললেই চলে। এদিকে শহরের হিলভিউ, গ্রীন হিল, হিলটন, ফোরস্টার, পালকি, গ্রীনল্যান্ডসহ বিভিন্ন হোটেল মোটেলগুলোতে বুকিং হয়েছে অনেক কম। এর মধ্যে ঈদের আগের দিনও অনেকগুলো বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারী বর্ষণে সড়ক ডুবে যাওয়া আর বৈরি আবহাওয়াকেই এ জন্য দায়ী করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, বান্দরবানের প্রবেশ পথ কেরানীহাটের বিভিন্ন স্থানে সড়কে ওঠায় আর বান্দরবান রাঙামাটি সড়কের বালাঘাটার পুলপাড়ায় সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় পর্যটকরা বান্দরবানে আসতে পারছে না, পাশাপাশি ভারী বর্ষন আর বন্যার কারণে পর্যটকদের বান্দরবানে ভ্রমনে তেমন আগ্রহ নেই।
বান্দরবান শহরের অভিজাত হোটেল থ্রিস্টারের মালিক বাবু কর্মকার বলেন,আমরা পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুুত রয়েছি,কিন্তু এবারের ঈদে বান্দরবানে এখনো পর্যটকদের তেমন কোন সাড়া নেই বললেই চলে।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল পূরবীর ম্যানেজার দুলাল দাশ জানান, আমাদের হোটেলে তেমন বুকিং নেই । প্রতিবছর ঈদের আগেই আমাদের বেশিরভাগ রুম বুকিং হয়ে গেলে ও এবার বৃষ্টির কারণে তেমন পর্যটন আসেনি।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবান বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন এলাকা। ঈদের ছুটিতে এখানে প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক বান্দরবানে আসে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পর্যটকদের মনে এক ধরণের আতঙ্ক থাকায় পর্যটক কিছুটা কম।তিনি আরো বলেন,আতঙ্ক কেটে গেলে পর্যটক আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভূমি ধসের কারণে এখানকার রাস্তাঘাট এবং পর্যটন স্পটের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি, পর্যটকরা চাইলে যে কোন সময় বান্দরবান ভ্রমন করতে পারবে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো:আলী নুর খান বলেন, মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক পাহাড়সহ সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আমরা নতুনভাবে সাজিয়েছি। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চমৎকার,পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সবাই নিশ্চিন্তে এবং নির্বিঘেœ বান্দরবান ঘুরে বেড়াতে পারবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন,ঈদ উপলক্ষে পর্যটক যারা বান্দরবানে আসছে এবং যারা আসবে তারা যেন নিরাপদে বান্দরবান ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সর্তক রয়েছে, প্রতিটি পর্যটনস্পটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।