সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির কতুকছড়ি আবাসিক এলাকা থেকে প্রতিপক্ষের হাতে অপহৃত আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মন্টি চাকমা ও জেলা সাধারন সম্পাদক দয়াসোনা চাকমা অপহরণের ১৩দিনেও উদ্ধার হয়নি। অপহৃত উদ্ধারে আন্দোলন বিক্ষোভ কর্মসুচীতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসন এমন অভিযোগ করেছে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো।
এদিকে অপহরন ঘটনার দুইদিন পর অপহৃত দয়াসোনার পিতা বাদি হয়ে ২০ মার্চ রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এ মামলায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১৮ মার্চ রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি আবাসিক এলাকায় একটি বাড়ীতে অবস্থান করার সময় গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সদস্যরা ঘরটিতে আগুন দেয় এবং অস্ত্রের মুখে মুল ইউপিডিএফ গ্রুপের দুই নেত্রীকে অস্ত্রের মূখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) রুহুল আমিন সিদ্দিকি বলেন, কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলার সুত্র ধরে ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করতে এবং অপহৃত দুই ইউপিডিএফ নেত্রীর সন্ধানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে অপহৃত দুই নেত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিলের মত শান্তিপুর্ন কর্মসুচীতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক অনিল চাকমা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুই নেত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে শুক্রবার নানিয়াচর সদরে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং সেখানে ঢাকা থেকে আসা বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, নারী সংহতির সদস্য শাহিদা হক, বিপ্লবী নারী মুক্তির আহ্বায়ক নাসিমা নাজনীন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এমএম পারভেজ লেলিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-এর সাংগঠনিক সম্পদক মাসুদ রানা ও ছাত্র ফেডারেশন-এর (গণসংহতি) শওকত এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর জেলা কমিটির সদস্য রনিকা চাকমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক ঘন্টা আটকে রাখে এবং পড়ে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরো দাবি করেন পাহাড়ে গনতান্ত্রিক আন্দোলনের সব পথ বন্ধ করে সরকার দমন পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে যা কাম্য নয়।