প্রকাশঃ ০৬ জুলাই, ২০১৯ ০৩:০৪:০০
| আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ০৬:৩০:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে আত্মপ্রকাশ ঘটল রাঙামাটির ‘তানঝাং শিল্পী গোষ্ঠী’ নামে নতুন একটি সংগঠনের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং অসাম্প্রদায়িক জাতীয় সংহতির সুদৃঢ় বন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিকাশে নবীন ও প্রবীন সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে রাঙামাটি থেকে যাত্রা শুরু করল এটি।
শুক্রবার রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউটিনিটির সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মসূচি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে তানঝাং শিল্পী গোষ্ঠী। সকালে সাধারণ সভা ছাড়াও বিকালে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক সন্ধ্যা।
সংগঠনটির সভাপতি কবি, সাহিত্যিক ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রগতি খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বৌদ্ধ ধর্মীয়কল্যাণ ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য দীপক বিকাশ চাকমা, বিশিষ্টজন ও লেখক বিজয় কেতন চাকমা, শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নাট্যকার ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব সুশীল প্রসাদ চাকমা, কবি মলয় কিশোর ত্রিপুরা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন, তানঝাং শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি সুবেশ চাকমা ও অভিনেতা সুমতি চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সচিব চাকমা। শুরুতে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন, কণ্ঠশিল্পী বিনয় শংকর চাকমার সঙ্গীত দল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক জগতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখনও পিছিয়ে। নানা ধরনের বাধা এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বিকশিত হতে পারছে না এখানকার সংস্কৃতিশিল্প। ফলে উঠে আসতে পারছে না প্রতিভাবানরা। প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে পারছেন না গীতিকার ও নাট্যকাররা। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত সব আইনে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি বিকাশ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকারের সহায়তা দেয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরের সদিচ্ছা না থাকায় তার বাস্তবায়ন নেই।
এ ছাড়াও রয়েছে নানা বাধা। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকারের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতাসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতার আহবান জানান।