প্রকাশঃ ১৮ জুন, ২০১৯ ১০:৩২:২৯
| আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০৪:৫৮:৪২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বরকল উপজেলা সদরে বরকল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুরাতন স্কুল ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ৪লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়- গেল ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে বরকল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন টিন সেড বাশেঁর বেড়ার স্কুল ঘরটি মেরামতের জন্য ৪লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেরামতের কাজটি করেন মোঃ শাহ আলম নামে এক ঠিকাদার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ টিন সেড বাঁশের বেড়ার পুরাতন স্কুল ঘরটি ১৯৬৫ সালে নির্মাণ করা হয়। এল আকৃতির স্কুল ঘরটির টিন শেডের টিনগুলো মরিচা ধরেছে। টিনগুলোতে অসংখ্য বা ফোটা বা ছিদ্র। যা সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। স্কুলের চারিদিকে বেড়াগুলো উইপোকায় বাসা বেধে নষ্ট করেছে। বিদ্যালয়ের দরজা জানালা গুলো ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, শিক্ষাথীর্রা কোন রকম ক্লাশ করছে।
দেখা গেছে - স্কুল ঘরের ছালায় পুরাতন টিনের সাথে মাত্র চারটি নতুন ঢেউ টিন দেয়া হয়েছে। জরাজীর্ণ বেড়া সিলিংয়ের পরিবর্তে কাগজের পিচ বোর্ডের সিলিং দেয়া হয়েছে। ওয়ালের কিছু ভাঙ্গা ও বেড়ার কিছু ভাঙ্গা মেরামত করে দায়িত্ব সেরেছেন ওই ঠিকাদার। যা সাড়ে চার লক্ষ টাকার বরাদ্দের মেরামত কাজে এক লক্ষ টাকাও খরচ হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের মেরামতের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষীনাথ চাকমা জানান- তিনি জেলা পরিষদে পুরাতন বিদ্যালয় মেরামত ও বিদ্যালয়ের পাশে ব্রীজের রেলিং গুলো ভেঁঙ্গে যাওয়ায় মেরামতের জন্য আবেদন করেন। জেলা পরিষদের তৎ সময়ের জেলা পরিষদের সদস্য সুবির কুমার চাকমার সুপারিশে ওসব মেরামতের জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ। কিন্তু সরকারি এ টাকায় ঠিকাদার তার ইচ্ছেমত স্কুল ঘরে সামান্য কাজ করলেও ব্রীজের রেলিংয়ের কোন কাজ করেননি। ফলে ব্রীজের চারি পাশে রেলিং গুলো না থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতে বিপদের আশংকা রয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান।
তিনি আরো বলেন- মেরামতের কাজ করার সময় কি কি কাজ করা হবে তার নকশা ও কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানতে চাইলেও জানাতে অপারগতা জানান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও কাজের তদারকিতে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী। ফলে ঠিকাদার আমাদের কোন কিছু না জানিয়ে তার ইচ্ছেমত কাজ করে চলে যায়।
কত টাকার কাজ হয়েছে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান- আনুমানিক লাখ খানিক টাকার কাজ করেছেন ঠিকাদার।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোঃ শাহআলম বলেন- স্বল্প টাকার বরাদ্দে যা কাজ করার দরকার তা তিনি করেছেন। কাজ করেছেন টাকাও নিয়েছেন। বরাদ্দের কত টাকার কাজ করেছেন জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন- যা কাজ করেছেন অফিস তাকে সেই টাকা দিয়েছেন।
কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের উপসহকারি প্রকৌশলী রিগেন চাকমা বলেন- গত বছর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ঠিকাদার সমস্ত বিল নিয়ে গেছেন।
সিডিউল মোতাবেক কাজ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সব কাজ করা হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দু হান্নান পাটোয়ারী জানান মেরামতের কাজ হয়েছে সেটা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। কি হয়েছে কি ভাবে হয়েছে তিনি কিছুই জানেন না। কারন তাকে জানানো হয়নি এবং তিনি এতে সম্পৃক্ত নন বলে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান।