প্রকাশঃ ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৯:৪৪:১৩
| আপডেটঃ ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ ০১:১৬:২৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির এক নেতার শ^শুড় বাড়িতে হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাত নেতার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দিয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. নাছির উদ্দীন। অভিযুক্তরা হলেন- বাঘাইছড়ি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জুমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, পৌর যুবদলের সদস্য নুর কবির, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন, সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিন্নাত, কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারওয়ার গাজী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ মোল্লা। লিখিত অভিযোগে আরও ২/৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সঙ্গে ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দেওয়া ওই লিখিত অভিযোগপত্রে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নাছির উদ্দীন দাবি করেন, গত ৬ জানুয়ারি রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর শ^শুড় বাড়িতে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল হঠাৎ এসে ঘেরাও করে। তারা দরজায় লাথি দেয় এবং দরজা না খুললেও ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। এমন পরিস্থিতি দেখে শ^শুড় বাড়ির লোকজন আমাকে ফোন দেয়। পরে আমি দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার কারণ জানতে চাই। পরে তারা আমাকে বলে, এই বাড়িতে খাগড়াছড়ি থেকে জয়নাল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা বেড়াতে এসেছে। এমন ঘটনা শুনে আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি জানাই এবং তিনি তাদের সঙ্গে বললে বলে তাৎক্ষনিক ফোনটি বন্ধ করে দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পরে আমি ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুকের সহযোগিতা চাই। তিনি ঘটনাস্থলে এসে তাদের (অভিযুক্ত) সঙ্গে কথা বলেন এবং তারা বেড়াতে আসা লোকটিতে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলে এবং তা না হলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে আমার শ^শুড় বাড়ির লোকজন বাসায় থাকা ২৫ হাজার টাকা তাদের দেন কিন্তু তারা ২ লাখ টাকার নিচে নিতে রাজি হয় না। পরদিন সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করি এবং সন্ধ্যায় সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে জরুরি সভা ডাকে। সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল আলম বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে এবং পৌর বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দীন বাবু চাঁদাবাজির ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে বক্তব্য রাখেন। তাৎক্ষনিক তাকে থামিয়ে দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলী। তিনি বলেন এটা কোনোভাবেই চাঁদাবাজি নয়। এবং তিনি চাঁদাবাজদের পক্ষে কথা বলেন। অভিযোগে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলীর উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি, এবিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।