প্রকাশঃ ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:০৫:৩১
| আপডেটঃ ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৮:০৬:৩০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে । শহরের যান্ত্রিকতার কোলাহল ভুলে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। ফলে শীতের মৌসুমে আশানুরূপ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকালে রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু ঘুরে দেখা যায় পর্যটকের মুখরিত হয়ে উঠেতে ঝুলন্ত সেতুটি। বছরের শেষে পরিবার, প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঢাকাসহ দেশর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক ঘুরতে এসে ঝুলন্ত সেতুতে ছবি তুলছেন, আবার অনেকে কাপ্তাই লেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে ভেসে বেড়াচ্ছেন।
অন্য দিকে ঝুলন্ত সেতু ছাড়াও সুবলং ঝরনা, ডিসি বাংলো, পলওয়েল পার্ক, রাজবাড়ি, কাপ্তাই লেক, আসামবস্তি- কাপ্তাই সড়ক সহ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা নীলাঞ্জনা রিসোর্ট, বেরান্ন্য লেক, ইজোর, রান্ন্যেটুগুন দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর জায়গাগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নাঈম বলেন, প্রথম বার রাঙামাটিতে আসা। এই প্রথম পাহাড় দেখলাম, হ্রদ পাহাড়ের মিতালী যে এত মুগ্ধকর তা আমার জানা ছিল না। প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর ও স্নিগ্ধ হতে পাড়ে তা এখানে না এলে কেউ বুঝতে পারবে না।
ফেনী থেকে আসা হাসান বলেন, বন্ধুরা মিলে বছরের শেষে ও শীতের শুরুতে রাঙামাটি বেড়াতে এসেছি। রাঙামাটির সৌন্দর্য দেখে খুব ভালো লাগতেছে। আগে সহিংসতার ঘটনার কারণে প্রশাসন পর্যটকদের ভ্রমন বন্ধ করে দিয়েছিলো। এবারে যেহেতু সবকিছু ঠিক রয়েছে সেকারণে আমরাও ভালো করে ঘুরাঘুরি করতে পারতেছি। পাহাড় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে খুব ভালো লাগতেছে।
পর্যটন নৌ- যান ঘাটের লাইনম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটক না আসাতে আমাদের বোট চালক ও মালিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারে যেহেতু কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, অন্যদিকে শীতের মৌসুম ও চলে এসেছে। পর্যটকরাও আসা শুরু করতেছে। এভাবে যদি সামনের দিনগুলোওতে ভালো পর্যটক আসে তাহলে মোটামুটি ব্যস্ততার সময় পাড় হবে এবং আমাদের ব্যবসাও ভালো চলবে।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক অলক বিকাশ চাকমা বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক আসা কমে গেলেও বর্তমানে ভরা মৌসুমে পর্যটকের আগমন শুরু হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ৬০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। যেভাবে পর্যটক আসতেছে এটা যদি ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে তাহলে আরও পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাবে এবং আমরাও ভালো রাজস্ব আয় করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
এদিকে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিও এখন পর্যটকে মুখরিত। মেঘ পাহাড়ের মিতালি সৌন্দর্য দেখতে সাজেকে ছুটছেন পর্যটকরা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক এখন পর্যটকের মুখরিত। আগের চাইতে পরিবেশ পরিস্থিতি এখন সব ঠিক থাকায় পর্যটকের আগমন বাড়তেছে। সাজেকের বেশির ভাগ কটেজ, রিসোট এখন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। অন্যান্য দিনের চাইতে বিশেষ করে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে সাজেকে পর্যটকের চাপ বেশি থাকে। সামনের দিনগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আরোও ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।