প্রকাশঃ ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০৩:৪৪:১৬
| আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:০৭:১৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ওয়াগ্যোই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা)। উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য জেলায় এখন আনন্দের আমেজ।
জেলা সদর ছাড়া ও পাহাড়ী পল্লীগুলোতে চলছে ধর্মীয় ও আদি সামাজিক নানান ঐতিহ্যের অনুষ্ঠান উদযাপন, জগতের মঙ্গল কামনায় বিহারে বিহারে চলছে প্রার্থনা ।
প্রবারণা পূর্নিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যাতম ধর্মীয় উৎসব। এটি একদিনের অনুষ্ঠান হলেও বান্দরবানে মারমা আদিবাসীরা দুইদিন ব্যাপী এই উৎসব পালন করে নানান আয়োজনে। আষাঢ়ী পূর্নিমার পরের দিন থেকে টানা তিনমাসের বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ নর-নারীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে পঞ্চশীল, অষ্টশীল ও দশশীল গ্রহন করেন এবং প্রবারণা পালন করেন। এসময় সকল অহিংসা ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত হন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মানুসারীরা।
প্রবারণা পুর্ণিমা পালন উপলক্ষে সকাল থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারে বিহারে চলছে ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে অর্থ ও অন্নদান, ফুল পূজা আর উপাসক-উপাসিকারা গ্রহণ করছে অষ্টশীল ও দশশীল । বিহারে বিহারে চলছে ধর্মীয় দেশনা ও জগতের সকল প্রানীর মঙ্গল কামনায় করা হচ্ছে বিশেষ প্রার্থনা। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা বিভিন্ন বিহারে বিহারে উপস্থিত হয়ে সুখ:শান্তি লাভ ও পারিবারিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনায় জড়ো হচ্ছে। দায়ক-দায়িকারা মোমবাতি,ধুপকাটি প্রজ্জলন আর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ছোয়াইং (বিভিন্ন ধরনের খাবার)প্রদান করে দিনটি পালন করছে মহাআনন্দে।
প্রতিবার প্রবারণা পূর্নিমা উৎসবকে ঘিরে উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বান্দরবানে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন তবে এবার তা হচ্ছে না। শুধুমাত্র ১৭ অক্টোবর বিকেলে বান্দরবানের পুরাতন রাজবাড়ী থেকে রথ টেনে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার ও উজানী পাড়া বৌদ্ধ বিহারে নেয়া হবে আর ১৮অক্টোবর বিকেলে আবার সেই রথ টেনে সাংগু নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আয়োজন।