খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘাতের ঘটনায় বান্দরবানের থানচিতে বিক্ষোভ

প্রকাশঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:১৪:৫৪ | আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০২:০৯:১৭

সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সন্ত্রাসী কায়দায় পাহাড়ীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ,রাংগামাটিতে বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বান্দরবানে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছেন আদিবাসী ছাত্র যুব সমাজ। 

 

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্ত মঞ্চে জড়ো হতে থাকে উপজেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাহাড়ি প্রতিনিধি শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে হাতে ব্যানার প্লেকার্ড নিয়ে "থানচি আদিবাসী ছাত্র যুব সমাজ" ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে তিন রাস্তার মোড় সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে

 

মারমা,চাকমা,ম্রো, ত্রিপুরা খুমী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বক্তারা বলেন, লড়াই করে বাঁচতে হবে আমাদের। পাহাড়ে নিজের মাতৃভূমি রক্ষার্থে প্রতিবাদ করতে হবে। পাহাড়ে হাজার বছর ধরে সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছি। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার বাঙ্গালী আসার পর থেকে আমাদের সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছে।অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে কথা বললে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করা হয়।

 

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে দীঘিনালা একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থী কিছু সেটেলার বাহিনী উস্কানিতে পাহাড়ি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হামলা করা হয়েছে এবং গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে রাংগামাটিতে বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে যারা এসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনে আওতার আনার জন্য সরকারে প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। 

 

বক্তারা আরও বলেন, ছাত্রদের অভ্যুত্থানে মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও পাহাড়ে কিছু স্যাটেলার বাহিনী কর্তৃক আজ পাহাড়ে শান্তিপ্রিয় পাহাড়ি বাঙালি নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘাতের লিপ্ত, তাই আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। তাদের প্রতিহত করার জন্য সবাইকে ঐক্য থাকা আহবান করেন এবং সমাবেশ থেকে আগামীতে যে কোন আন্দোলন করতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন তারা


সমাবেশে অংগ্যপ্রু  মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মংমে মারমা, জ্যোতি বিকাশ চাকমা, ফ্রান্সিস ত্রিপুরা, থংরে খুমী, রেংহাই ম্রোসহ প্রমুখ

 

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions