খাগড়াছড়ির বন্যা কবলিত মানুষের পাশে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন

প্রকাশঃ ২২ অগাস্ট, ২০২৪ ০৫:১৫:২৫ | আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৯:২৮

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। তিন মাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো বন্যা কবলিত খাগড়াছড়ি শহর ও দীঘিনালার মেরুং-কবাখালীর মানুষের পাশে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন-রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এবং সুপরিচিত স্বেচ্ছানেবী সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’ অন্যতম।


খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলার জন্য চল্লিশ (৪০) মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দিয়েছেন।


মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালতক খাগড়াছড়ি শহরের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আজ (বুধবার) বিকেল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে। পুরো জেলায় প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলায় ৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন।


খাগড়াছড়িতে বন্যা দুর্গত এলাকায় জেলা বিএনপি সভাপতি- সাবেক এমপি  ওয়াদুদ ভূইয়ার পক্ষে রান্না ত্রাণ করা শুকনো খাবারসহ বিতরণ করছে দলীয় নেতাকর্মী শিক্ষার্থীরা।


সরেজমিনে জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রব রাজা, জেলা বিএনপি নেতা আহসানউল্লাহ্, পৌর বিএনপি’র সা. সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি সাগর নোমানকে ত্রাণ তৎপরতায় নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।


জরুরী ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’ও। বিদ্যানন্দ’র বোর্ড মেম্বার মো. জামাল উদ্দিন জানান, তাঁদের ত্রাণ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল এরই মধ্যে খাগড়াছড়িতে পৌঁছেছে।


প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক মোবারক হোসেন জানান, তাঁরা বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলাশহরের বটতলী এলাকা দিয়ে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চার’শ পরিবারের জন্য প্রতি প্যাকেটে ছয় (৬) কেজি করে চাল, এক কেজি করে মসুরী ডাল-লবন, এক ডজন ডিম, পাঁচটি খাবার স্যালাইন, বিস্কুট বিতরণ করা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ত্রাণ তৎপরতা আরো বাড়ানো হবে।


দীঘিনালার ইউএনও মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে।


নবনিযুক্ত খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র (উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ) নাজমুন আরা সুলতানাও পৌর কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।


খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, জেলায় ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দি এলাকার মানুষদের জন্য শুকনো খাবার, মোমবাতি, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions