১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

প্রকাশঃ ১০ জুলাই, ২০২৪ ০৪:১৭:৪৭ | আপডেটঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:২৩:৩৮
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার  সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বর সামনে চাকমা সার্কেলের প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনীর কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন।

মানববন্ধন চলাকালে অন্যান্যর মধ্য বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান,আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, চিংকিউ রোয়াজা, সিএইচটি হেডম্যান এসোসিয়শনের সাধারন সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যেম প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, আগামী ১১ জুলাই উচ্চতর আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একটি অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে। এটি বাতিল করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রীতিপ্রথার প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পাশাপাশি পাহাড়ে প্রচন্ড আশান্তি সষ্টি হবে। পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার ব্যাহত হবে ও পাহাড়ী জনগণের অনুভুতিতে আঘাত হানবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে রাঙামাটি ফুডস প্রোডাক্ট লিমিটেড এক মামলায় হাইকোর্ট বেঞ্চ সিএইচটি রেগুলেশনকে 'ডেড ল' বা মৃত আইন বলে রায় দেয়। এ রায়ের ফলে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদসহ এবং সিএইচটি রেগুলেশনের সৃষ্ট প্রথাগত প্রতিষ্ঠানসমূহ সংকটের মুখে পড়ে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা হলে সুপ্রীমকোর্ট আপীল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চ  ২০১৬ সালে ২২ নভেম্বর সিএইচটি  রেগুলেশনকে একটি কার্যকর ও বৈধ আইন বলে রায় দেয়।
অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্টে বিচারধীন ওয়াগ্গা ছড়া টি স্টেট অপর এক মামলার ২০১৪ সালে ২ ডিসেম্বর রায় দেয়। এ দুটি রায়ই সিএইচটি  রেগুলেশনকে জীবিত আইন বলে রায় দেয়। উক্ত দুটি রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে সুপ্রীম কোর্টে রিভিউ আবেদন করেন খাগড়াছড়ি বাসিন্দার দুই বাঙালী। বিজ্ঞ এটর্নী জেনারেল উল্লেখিত দুজনের রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে রিভিউর পক্ষে অবস্থান নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের দুটি রায়ে থাকা রাজা, ইনডিজিনাস, প্রথাগত শব্দসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শব্দ, বাক্য, অনুচ্ছেদ বাদ দিয়ে হলফনামা আকারে সুপ্রীম কোর্টে দাখিল করেন। এ রিভিউ সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগের বেঞ্চ গ্রহণ করবে কিনা তার উপর শুনানী হবে আগামী ১১ জুলাই।




সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions