সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)। রাঙামাটি জেলা বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৪ (চার) কিলোমিটার (দক্ষিন-পূর্বে) "উগলছড়ি বিল" অবস্থিত। এখানকার স্থানীয়রা এই উগলছড়ি বিল স্থানের নাম "নিউজিল্যান্ড বিল" নামে নামকরণ করেন।
স্থানটি পর্যটন নগরী নয়, তবুও যেন এটা পর্যটন স্থান। কোরবান এর ঈদ ছুটিতে বেড়েছে পর্যটকের ভিড়।বিকেল হলে পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব নিয়ে সময় কাটাতে এসেছে বহু মানুষ। দূর দূরান্ত থেকেও আসছে পর্যটক। উগলছড়ি বিল ধীরে ধীরে যেন পর্যটক স্থান হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে বেশ। আসে পাশে বিলের মাঝে পানি, সন্ধ্যা হতে সূর্যাস্ত উপভোগ করেন পর্যটকরা।
বিলের একটু দূরে কাচালং নদী। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থই থই থাকায় মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে বিলের চারপাশ। অতি বৃষ্টির ফলে রাস্তায় উঠে আসে পানি। এ যেন মিঠামইন হাওর । অন্যদিকে ঋতুর সাথে সাথে যেন রূপ বদলায় এই উগলছড়ি বিল। শীতের মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে আসলে চাষিরা সেখানে ধান চাষ করেন। সন্ধ্যা হয়ে ঘন কুয়াশায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। শীতল হাওয়ায় বিভিন্ন যুবকরা আয়োজন করেন বনভোজনের। শীতের মৌসুমে ভিড় জমায় অথিতি পাখি (সময়ের সাথে সাথে মানুষের আনাগোনায় এখন আর তেমন দেখা যায় না)।
ঘুরতে আসা হারুন বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায় প্রতি শুক্রবার এখানে সময় কাটাতে আসি। বেশ উপভোগ করি এই প্রকৃতি।
রোজিনা আক্তার বলেন, সাংসারিক জীবনে পদার্পণ করার পর আর তেমন ঘুরাঘুরি করা হয় না। তবে সময় পেলে এখানে আসি সময় কাটাতে। এখানে আসার পর নিজের অজান্তে মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আল্লাহর নেয়ামত, আল্লাহর সৃষ্টি দেখে মন জুড়ে যায়।
অন্যদিকে সুজন চাকমা বলেন, আমি এখানকার স্থানীয় না, প্রায় সোস্যাল মিডিয়ায় এবং বন্ধুদের মুখে এই নিউজিল্যান্ড বিল নিয়ে শুনতাম। দীর্ঘ দিন ধরে আসবো আসবো বলে আসা হয় না, অবশেষে বন্ধ সুভাষ চাকমার সাথে যোগাযোগ করে চলে আসলাম। এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না যে, বাঘাইছড়ি উপজেলায় এমন সুন্দর জায়গা আছে।