কল্পনা চাকমা অপহরণকারী দোষীদের জনতার আদালতে প্রতীকি ফাঁসি

প্রকাশঃ ১৩ জুন, ২০২৪ ০৪:৩৮:২৪ | আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:৩৫:২১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বহুল আলোচিত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণের মামলা আদালতে খারিজের প্রতিবাদে ও চিহিৃত অপহরণকারীদের বিচারের দাবীতে বুধবার রাঙামাটিতে পৃথক দুটি স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশে কল্পনা চাকমার অপহরনের অভিযুক্ত চিহ্নিত অপহরণকারীদের জনতার আদালতে প্রতীকি ফাঁসি প্রদান করা হয়।  

দক্ষিণ কতুকছড়ির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন হিল ইউমেন্স ফেডারেশসহ তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে সমাবেশে অন্যান্যর মধ্য বক্তব্যে দেন, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নীতি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি রীনা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা ধর্মশিং চাকমা, লেম্প পোর্ষ্টের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ফারহানা হক সামা প্রমুখ।

এর আগে কল্পনা চাকমার অপহরণ নিয়ে একটি নাটিকা মঞ্চায়ন করা হয়।  পরে জনতার আদালতের রায় ঘোষণার পর পরই পাহাড়িদের রীতি অনুযায়ী মানুষের মৃত্যুর পর যেভাবে ঢোল বাঁজানো হয় প্রতীকী হিসেবে সেভাবে ঢোল বাজিয়ে জনতা কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করেন।

এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২৩ এপ্রিল কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলার চিহিৃত অপরাধীদের রক্ষা করতে আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এতে আইন আদালত, প্রশাসন ও সরকার পক্ষপাতদুষ্ট তার পার্বত্যবাসীর নিকট স্পষ্ট হয়েছে। রাষ্ট্রের আদালতে পাহাড়ী বিচার পাবে না, অতীতেও পায়নি সেটা কল্পনা অপহরণ মালমা খারিজ করে দিয়ে সরকার চোখের আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে। তারা অপরাধীদের রক্ষায়  আদালতের এ দায়মুক্তির রায় মেনে নেওয়া হবে না। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন প্রথম প্রহরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা লাইল্যা ঘোনা বাড়ী থেকে কল্পনা চাকমা অপহৃত হন। পরদিন বাঘাইছড়ি থানায় তার বড় ভাই কালেন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে অপহরনের মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ মামলাটি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলার পর গত ২৩ এপ্রিল রাঙামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা মামলাটি খারিজ করে দেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions