সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)। ভারী বর্ষণে ধীরে ধীরে আকস্মিক বন্যায় কবলিত হচ্ছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্লাবিত হচ্ছে সদরসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। প্লাবিত হচ্ছে উপজেলা পরিষদ ভবনসহ আশেপাশের নিম্নাঞ্চল। চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। চিন্তায় দিশেহারা নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। চরম ভোগান্তির মধ্যে দুর্গত লোকজন। দুর্গতদের আশ্রয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
জানা যায়, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির মাস্টার পাড়া, মধ্যম পাড়া, কলেজ পাড়া, বারেবিন্দু ঘাট, বাঘাইছড়ি সদর, এফ ব্লক, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, ফসলি জমিসহ অসংখ্য বাড়িঘরে ডুকছে বন্যার পানি। ইতিমধ্যে বন্যায় কবলিত এলাকার মানুষজন আশ্রয় নিচ্ছেন আশ্রয় কেন্দ্রে, আবার কেউ কেউ ঠাঁয় গুজাচ্ছেন উচু এলাকায় আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। গরু ছাগলকে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপদ স্থানে।
স্থানীয়রা জানান, কাচালং নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ২০০৭ সাল থেকে প্রত্যেক বছর ভয়াবহ বন্যা দেখা দিচ্ছে। গত বছরওও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা ও অতিবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা সদর, মধ্যমপাড়া, মাস্টারপাড়া, মাদ্রাসাপাড়া, এফব্লক, বারিবিন্দু ঘাট, লাইল্ল্যাঘোনা এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মারিশ্যা -দিঘীনালা সড়কের বেশ কিছু জায়গায় সড়কে ছোট বড় পাহাড় ধস ও গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করছে প্রশাসন ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, বন্যার সম্ভবনা দেখেই আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, গতকাল সন্ধ্যায় আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে/আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়। ইতিমধ্যে আমরা সকল আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দিয়েছি।
অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস, তার মধ্যে মারিশ্যা - দীঘিনালা সড়কে ৯ কিলো, ১০ কিলো, এবং ১২ কিলো স্থানে পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (খাগড়াছড়ি) সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৭ টা নাগাদ পাহাড় ধস হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মীরা বিকাল সাড়ে ৩টায় কাজ করে মোটামুটি যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। তবে এখনো পুরোপুরি রাস্তা থেকে মাটি সরানো হয়নি। পুরোপুরি মাটি সরাতে সময় লাগতে পারে আরো একদিন।