ভারি বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় প্রশাসনের মাইকিং

প্রকাশঃ ২৮ মে, ২০২৪ ০৭:৪০:৩০ | আপডেটঃ ০১ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৪২:৩৮

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি  ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত রোববার থেকে থেমে থেমে রাঙামাটিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে আবহাওয়ার অফিস এটিকে ভারি বর্ষণ বলছে ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ি এলাকা রাঙামাটি জেলায় ছোট-বড় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এদিকে, রেমালের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসনজেলা শহর এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করেছে তথ্য অফিস তবে রাঙামাটিতে রোববার সোমবারের বৃষ্টিপাতে কোনো পাহাড়ধসের খবর পাওয়া যায়নি


রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার ক্য চি নু মারমা বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় রাঙামাটি জেলায় ৭২ দশমিক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এই বৃষ্টিপাতকে ভারি বর্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া যায় এমন বৃষ্টিপাত আরও দুয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে ভারি বর্ষণের ফলে রাঙামাটি জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে


রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাঙামাটিতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে পাহাড়ে পাদদেশে বসাবসকারীদের ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ২৯টি এবং জেলার দশ উপজেলায় ৩২২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এছাড়া পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন দপ্তরগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে


প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসে পাঁচ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে এর পরের বছর জেলার নানিয়ারচরে ১১ জনের মৃত্যু হয় পাহাড় ধসে বিগত বছরগুলোতে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও থেমে নেই ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসতি গড়ে তোলা স্থানীয় প্রশাসনও কেবলমাত্র বৃষ্টিপাত হলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড টাঙানো ছাড়া প্রশাসনের উল্লেখ্যযোগ্য কোনো কর্মতৎপরতা নেই বলছেন স্থানীয়রা

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions