কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন মাত্র ৩০ মেগাওয়াট

প্রকাশঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:০৬:৩৭ | আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৪২:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দেশের একমাত্র এই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পাঁচটি ইউনিটে দৈনিক ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে কেবল ৩০ মেগাওয়াট। আজ সোমবারও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩০ মেগাওয়াট। ক্রমাগত কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কাও করছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টিপাত ছাড়া হ্রদে পানি বাড়ার সম্ভাবনা না থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সামনের পরিস্থিতি নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপরই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির যে অবস্থা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। আপাতত বৃষ্টিপাত ছাড়া হ্রদে পানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যে কারণে বৃষ্টির ওপরই পরিস্থিতি নির্ভর করছে।’

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্রে জানা গিয়েছে, কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাপের রুল কার্ড (সময়সূচিভিত্তিক পানি ওঠানামার মাপ) অনুযায়ী সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ৭৪ দশমিক ১৯ মিনস্ সি লেভেল (এমএসএল) পানি রয়েছে। যদিও স্বাভাবিকভাবে পানির থাকার কথা ৮২ দশমিক ৪০ এমএসএল। রুল কার্ডের হিসেবেই বর্তমানে ৮ এমএসএল পানি কম রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত কিংবা বিকল্প উৎস থেকে (উজান) পানি না আসলে হ্রদে পানি বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে খর স্রোতা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেয়ার কারণে গড়ে ওঠে বিস্তীর্ণ কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দেয়া অংশে চালু করা হয় দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কৃত্রিমভাবে হ্রদের পানি সংরক্ষণ করেই করা হয় উৎপাদন। শুরুর দিকে কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৮০ মেগাওয়াট। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে স্থাপনাটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে মোট ২৪২ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। এ উৎপাদনের পুরো বিদ্যুৎ যায় জাতীয় গ্রিডে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions