সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আগামী
৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম
ধাপের সাধারণ নির্বাচন থেকে
সরে দাঁড়ালেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের
বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন
ছাড়াও কাউখালীর চার ভাইস-চেয়ারম্যান
প্রার্থী। সোমবার
(২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনে রাঙামাটি সদর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান
পদপ্রার্থী মো. শহীদুজ্জামান মহসীন
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।
অন্যদিকে, কাউখালী উপজেলা পরিষদে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী
থাকলেও অং প্রু মারমা,
কে এম আসিফ নেওয়াজ,
মো. ফিরোজ আহাম্মাদ নির্বাচন
সরে যাওয়ায় এ পদে
রয়েছেন কেবলমাত্র লা থোয়াই মারমা। এতে
করে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন লা
থোয়াই মারমা। আবার
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে
কাউখালীতে জান্নাতুল ফেরদৌস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
করে নেওয়ায় এ পদে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এ্যানী চাকমা
(কৃপা) ও নিংবাইউ মারমা।
প্রথম ধাপের ভোটে রাঙামাটির
চার উপজেলা থেকে ৩৭
জন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শেষ
পর্যন্ত দুই উপজেলা থেকে
পাঁচ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর ফলে
ভোটের মাঠে রইলেন ৩২
জন। কাউখালীতে
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না
থাকায় এ পদে ভোট
হচ্ছে না বলে জানিয়েছে
নির্বাচন অফিস। রাঙামাটি
জেলা নির্বাচন অফিস ও রির্টানিং
কর্মকর্তার কার্যালয় এসব নিশ্চিত করেছে।
ভোটের মাঠে যারা:
রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে তিনটি পদে শেষ
পর্যন্ত প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। চেয়ারম্যান
পদে অন্নসাধন চাকমা, পঞ্চানন ভট্টাচার্য্য,
বিপ্লব চাকমা, শাহাজাহান ও
সুফিয়া কামাল (ঝিমি)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে চন্দ্রজিত দেওয়ান,
দয়াময় চাকমা, দূর্গেশ^র
চাকমা, পলাশ কুসুম চাকমা,
মো. মনিরুল ইসলাম ও
মো. রিদওয়ানুল হক সেলিম।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে
নাসরিন ইসলাম, রিতা চাকমা
ও মনিকা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করবেন।
কাউখালী
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি
পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। এরমধ্যে
চেয়ারম্যান পদে মংসুইউ চৌধুরী
ও মো. সামশুদ্দোহা চৌধুরী। বিনা
ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হতে যাচ্ছেন লা থোয়াই মারমা। মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ্যানী চাকমা
(কৃপা) ও নিংবাইউ মারমা
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
তিনটি পদে প্রার্থী রয়েছেন
৭ জন। চেয়ারম্যান
পদে সুরেশ কুমার চাকমা,
জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা ও
কেতন চাকমা। ভাইস
চেয়ারম্যান পদে কামিনী রঞ্জন
চাকমা ও রন্টু চাকমা। মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনিতা দেবী
চাকমা ও জ্যোৎস্না তালুকদার
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বরকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
তিনটি পদে প্রার্থী রয়েছেন
৬ জন। চেয়ারম্যান
পদে সন্তোষ কুমার চাকমা
ও বিধান চাকমা।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুলিন বিহারী
চাকমা ও জ্ঞান জ্যোতি
চাকমা। মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাখি চাকমা
ও সুচরিতা চাকমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রোমান
এর মনোনয়ন প্রত্যাহার:
রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী
মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তাদের
মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগের
রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
দলগতভাবে এবার আওয়ামী লীগের
দলীয় প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ না
থাকলেও বর্তমান রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীনকে
দলের সমর্থন দেওয়ার কথা
ছড়িয়ে পড়লেও সমর্থনের বিষয়টিকে
‘নতুন কাহিনী’ বলে আসছিলেন জেলা
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক
শাহাজাহানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশনাকে ‘ভর’ করেই ভোটের
মাঠে থেকে যান পঞ্চানন
ভট্টাচার্য্য, বিপ্লব চাকমা ও
শাহাজাহান। শেষাবদি
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন
বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন
ওরফে রোমান। এই
পদে আরও দুজন প্রার্থী
থাকলেও তাদের একজন অন্নসাধন
চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সমর্থন পেয়েছেন বলে
জানা গেছে। আরেক
প্রার্থী সুফিয়া কামাল (ঝিমি)
জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের
পর রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন
(রোমান) গণমাধ্যমকে জানান, ‘দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত
যারা প্রার্থী হয়েছেন; আমার নির্বাচনে বিজয়ী
হওয়ার পেছনে তাদের সহযোগিতাও
রয়েছে। সেই
কৃতজ্ঞতা থেকেই আমি নির্বাচন
থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
পদপ্রার্থী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক
লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান
বলেন, ‘নেত্রী যেহেতু নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন; আমরা
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয়ের
লক্ষে কাজ করে যাব।’
এদিকে, রাঙামাটির কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে
চার প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও চারজনই
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে
জড়িত থাকায় তিন জন
‘দলের প্রেসারে’ সরে দাঁড়ান বলছেন
স্থানীয়রা। মহিলা
ভাইস-চেয়ারম্যান পদে একই কাহিনী। আওয়ামী
লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায়
দুজনের একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার
করে নিলেন।