সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। মোবাইলে রং নাম্বারে পরিচয়, হতো নিয়মিত কথাবার্তা এক পর্যায়ে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। আর সে সম্পকর্কে পুনরুপ দিতে পুষলিয়ে অপহরন করে নিয়ে করা হয় ধর্ষন। কিন্ত অপহরনের চারদিন পড়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে অপহরনকারী এবং উদ্ধার করা হয় অপহৃতাকে। কাউখালীতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরন করে ধর্ষনের অভিয়োগ পাওয়া গেছে। অপহরনের চারদিন পর অপহুতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরনকারীকে গ্রেফতার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব চন্দ্র কর জানিয়েছেন এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ
ও
সংশ্লিষ্ট সুত্র
জানায়,কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কাশখালী এলাকার
জনৈক
শহীদুল
ইসলামের মেয়ে(১৪)র সাথে
পাশ্ববর্তি রাঙ্গুনীয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোদারপাড় এলাকার
হেকমত
আলীর
ছেলে
আব্দুল
করিমের
(২১),
মোবাইলে রং
নাম্বারে কল
করার
পর
পরিচয়
হয়।
পরিচয়ের পর
থেকে
আব্দুল
করিম
ঐ
স্কুল
ছাত্রীর(১৪)
সাথে
প্রেমের সর্ম্পক গড়ে
তুলে।
নিয়মিত
মোবাইলে কথা
বলে।
গত
১৮
এপ্রিল
সকাল
সারে
এগারটার সময়
ঐ
স্কুল
ছাত্রী
কাশখালীর নিজ
বাড়ী
থেকে
প্রাইভেট পড়ার
উদ্দেশ্য বের
হয়।
এর
আগে
থেকে
আব্দুল
করিম
মধ্য
কাশখালী এলাকার
জনৈক
হাবিবের দোকানের সামনে
সিএনজি
অটোরিক্য্রা নিয়ে
অপেক্ষা করতে
থাকে।
এরই
মধ্যে
উক্ত
স্কুল
ছাত্রী
আসলে
সিএনজি
অটোরিক্য্রাতে তুলে
তাকে
আব্দুল
করিমের
বোনের
বাড়ী
রাঙ্গুনীয়ার ফুলবাগিছা এলাকায়
নিয়ে
যায়।
সেখানে
বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে
ধর্ষন
করে।
এদিকে ঐ স্কুল ছাত্রীর পরিবার তাদের মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ীতে ফিরে না আসলে বিভিন্নস্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে গত ১৯ এপ্রিল কাউখালী থানার নিখোঁজ জিডি নং ৭৪২, করেন।
পরে কাউখালী থানার পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরনকারী আব্দুল করিমের বিবাদীর অবস্থান সনাক্ত করে আজ সোমবার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া বাজার হইতে ঐ স্কুল ছাত্রীতে উদ্ধার এবং অপহরনকারীকে গ্রেফতার করে কাউখালী থানায় নিয়ে আসে। পরে এ স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব চন্দ্র কর জানিয়েছেন অপহরকারী আব্দুল করিমকে রাঙামাটির আদালতে সোপর্দ এবং ভিকটিম ঐ স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষাসহ রাঙ্গামাটির আদালতে প্রেরন করা হয়।