পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মধ্যে কৃত্রিম সংঘাতের নাটক সাজানো হয়: চাকমা সার্কেল চীফ

প্রকাশঃ ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:২২:২৬ | আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:৫৭:৩১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু উৎসব উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনের পর পাহাড়ি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের পরিবেশনায় ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের অনুষ্ঠানের শ্লোগান ‘জুম্মদের সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে অধিকতরভাবে এগিয়ে আসুন’।

বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু-২০২৪ উপলক্ষে এদিন সকালে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায়।

এতে আরও অতিথি ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, নারী অধিকারকর্মী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট চঞ্চু চাকমা, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শিশির চাকমা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে পাতানো খেলা হয়। মাঝেমধ্যে কৃত্রিমভাবে সংঘাতের নাটক সাজানো হয়। এইসব নাটকের যদি অবসান না হয়; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন হতে পারে না। জুম্ম, পাহাড়ি, আদিবাসী হিসেবে বাংলাদেশী হিসেবে আমরা মনে করি মাথা নত করে থাকব না। আমাদের যেমন বঞ্চনা রয়েছে, আবার আশার কথাও বলতে হবে। আমরা অবশ্যই যারা বঞ্চিত তাদের পাশে দাঁড়াব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলব। কিন্তু আমাদের আশার বাণীও শোনাতে হবে; যাতে পরবর্তী প্রজন্ম নিজেদের শক্তি-উদ্যম নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।’

সভায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘আমাদের জীবন আমাদের নয়ন; কারো দ্বারা পরিচালিত হয়। পার্বত্যবাসী জুম্মরা বাংলাদেশের শত্রু নয়, বাংলাদেশের পথের কাটা নয়। তাই বাংলাদেশের আদিবাসীরা এরা বরঞ্চ বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে। বাংলাদেশের মান সম্মান বাহির থেকে নিয়ে আসে। আগামী বছর আমরা আরও মন-প্রাণ মুখে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু উদযাপন করতে পারব সেই প্রত্যাশা করছি।’

আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন পাহাড়ি তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions