বান্দরবারে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০২:০৬:২১ | আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:২৫:২১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আপুই মং মারমা (৬৮) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বান্দরবানের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়শা এ আদেশ প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাাপ্ত আপুই মং মারমা  বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াই অংগ্য পাড়ার মৃত সাপরু অং মার্মার ছেলে।

সূত্রে জানা যায়, মেসাচিং মার্মা (৫৪) এর প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর প্রায় ১৭ বছর আগে আপুই মং মারমার (৬৫) সঙ্গে বিয়ে হয়। প্রথম সংসারে ২মেয়ে ও ৩ ছেলে ছিল তার। বিয়ের পর থেকে মেসাচিং মার্মা তার ৩ বছরের ছোট মেয়েসহ রোয়াংছড়িতে আপুই মং মার্মার সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। ২০২০ সালে মেসাচিং মার্মা অসুস্থ হলে ছোট মেয়েকে রেখে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী এলাকায় তার প্রথম সংসারের বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তিন মাস ছিলেন, ফিরে এলে তার স্বামী আপুই মং মারমা তাকে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।পরে ২০২১ সালের ২জুলাই একটি কন্যা সন্তানসহ ছোট মেয়েটি তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তার ভাইকে জানায়, মা চলে যাওয়ার পর থেকে ২০২১ সালের ৩০জুন পর্যন্ত সৎ বাবা আপুই মং মারমা তাদের নির্জন বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেন, যার ফলে কন্যা শিশুটির জন্ম হয়। পরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৮ জুলাই বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থানায় আপুই মং মারমার বিরুদ্ধে  একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ সময় ধরে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) বাসিংথুয়াই মার্মা জানান, ধর্ষণ মামলায় আপুই মং মারমাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একইসঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশে দন্ডপ্রাপ্ত আপুই মং মারমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions