বরকলে অজ্ঞাত রোগের আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় কাজ করছে মেডিকেল টিম

প্রকাশঃ ২২ মার্চ, ২০২৪ ০৮:২১:১০ | আপডেটঃ ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:৪৪:৫৮

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলার  বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী দুর্গম চান্দবী ঘাট গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ১৪ জন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্যের মেডিকেল টিম। 

 

বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) সকাল ১১টা  দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম চান্দবী ঘাট গ্রামে পৌঁছে তিন ভাগে ভাগ হয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে আক্রান্ত রোগীদের  চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন গ্রামের প্রধান (কার্বারী) শিব রতন চাকমা। 

 

চান্দবী ঘাট পাড়ার গ্রাম প্রধান(কার্বারী) শিব রতন চাকমা জানান, মেডিকেল টিম তাদের গ্রামে পৌঁছানোর পর গ্রামের মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গ্রামবাসীরা  মেডিকেল টিম কে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে

 

ভূষণছড়া ইউনিয়নের নম্বর ওর্য়াডের মেম্বার প্রীতিশংকর দেওয়ান জানান, মেডিকেল টিম আসার পর তারা ভাগ হয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছে।  এতে গ্রামের মানুষের মাঝে এখন আতংক অনেকটা কমে গেছে। অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত রোগীরা এত দিন গ্রামের কবিরাজি (বৈদ্য) চিকিৎসা নিলেও আজকে থেকে  তারা মেডিকেল টিমের চিকিৎসা নিচ্ছে

 

বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মংক্যছিং (সাগর) জানান, পায়ে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে গ্রামে পৌঁছে তারা তিন ভাগে ভাগ হয়ে রোগীদের ঘরে ঘরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। রোগীদের অবস্থাগুলো  দেখে তারা তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবেন

 

রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, আজকে সকালে  আমাদের মেডিকেল টিম সেখানে পৌঁছানোর সাথে কাজ শুরু করে দিয়েছে পুরো গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে সবাইকে স্ক্যানিং করা হচ্ছে। সবার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র যা লাগে পাঠানো হয়েছে। আমরা সবোর্চ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো আর যেন কারো একটাও প্রাণহানি না ঘটে। তবে এখন যেহেতু চিকিৎসার আওতায় চলে আসছে আশা করি আর বড় ধরনের কোন অসুবিধা হবে না

 

উল্লেখ, গত জানুয়ারি মাস থেকে রাঙামাটির বরকলের ভূষনছড়া ইউনিয়নের দুর্গম চান্দবী ঘাট পাড়া গ্রামে অজ্ঞাত রোগের প্রাদুর্ভাবে ১০ জানুয়ারি পত্ত রঞ্জন চাকমা(২৫) প্রথম এই রোগে মারা যান। তার পর থেকেই চলতি মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত মোট জন মারা যায় এবং আক্রান্ত হয় ১৪ জন মানুষ

 

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions