সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২০১৯ সালের ১৮ই মার্চ পঞ্চম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে বাঘাইহাট হতে উপজেলা সদরে ফেরার পথে নয় কিলো নামক এলাকায় দুবৃর্ত্তদের ব্রাশফায়ারে ৮ জনের মৃত্যু ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার ৫ বছর হতে চললেও এখনো নিহত পরিবারগুলোর মাঝে স্বজন হারানোর শোক ও আহতদের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিহত ও আহতদের পরিবারগুলো বলছে ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের পূর্ণবাসন করার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
সোমবার (১৮ মার্চ)সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, পাকুজ্জ্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, সামাজিক সংগঠন হৃদয়ে বাঘাইছড়ির প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান, ঘটনায় আহতদের মধ্যে শিজক কলেজের প্রভাষক মোঃ হান্নান হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা বদিউল আলম, হুমায়ুন রশিদ, নিহত মিহর কান্তি দত্তের ছেলে পিয়াল দত্ত প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন ২০১৯ সালের ১৮ মার্চের ঘটনার ৫ বছরেও এখনো ধরা পরেনি ঘটনার মুল হোতা কেউ, গুলিবিদ্ধ আহতরা কেউ ভালো নেই। তাদের পুনরায় উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা একইসাথে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান এবং পূনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া এবং হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তক শিরীন আক্তার এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারক লিপি দিয়েছে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ গত ২০১৯ সালের ১৮ই মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজেকের তিনটি ভোট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে ৯ কিলো নামক এলাকায় দুবৃর্ত্তদের ব্রাশ ফায়ারে ঘটনাস্থলে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ ৭ জন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনসহ মোট ৮ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় ৩৩ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়।