বড় দিনের উৎসব দেখতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার এক স্কুল ছাত্রী

প্রকাশঃ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:৩৮:১৫ | আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:৪৩:৪৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বড় দিনের উৎসব দেখতে যাওয়ার পথে স্কুল পড়–য়া এক ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ধর্ষকরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছে ভিকটিমের পরিবার।

ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্রীটি ও তার বান্ধবী জানায়, জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া ইউনিয়নের বাড়ী থেকে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বড় দিনের উৎসব দেখতে তারা আরো ৪জন ছেলে বন্ধু মিলে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় যায়। যাওয়ার পথে একটি পরিত্যক্ত জুম ঘরে তারা অবস্থান করে। সেখানে অবস্থান করার সময় ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে একই এলাকায় ৩ জন যুবক মুখোশ পরিহিত অবস্থায় জুম ঘরে যায়।  সেখানে যুবকরা তাদেরকে আঞ্চলিক দলের লোকের প্রভাব দেখিয়ে ছেলে-মেয়ে এক সাথে জুম ঘরে অবস্থান করা যাবে না বলে হুমকি ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরে সেখান থেকে ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্রীটি ও তার বান্ধবীকে যুবকরা তাদের ছেলে বন্ধুদের কাছ আলাদা করে অন্যত্র নিয়ে যায়। এর মধ্যে  রাসেল চাকমা নামে এক যুবক  ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্রীকে অন্য স্থানে এবং  রাসেল চাকমা ও জিকো চাকমা নামে দুই যুবক অপর কিশোরীকে কিছু দুর নিয়ে যায়। সেখানে রাসেল জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে। তবে অন্য দুই যুবকের কাছে থাকা কিশোরীকে নিয়ে গেলেও তাকে ধর্ষন করেনি। রাতভর ধর্ষন করার পর ওই স্কুল ছাত্রীকে ছেড়ে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্রীটি স্থানীয় বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ধর্ষক রাসেল একই উপজেলার বনযোগী ছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে বিবাহিত ও মোটর সাইকেল ভাড়ায় চালিত চালক। অন্য দুজন যুবকের বাড়ীও একই ইউনিয়নে। ঘটনার পর তিনজন পলাতক রয়েছে। 

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জুরাছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ঘটনাস্থলটি ভৌগলিকগতভাবে জুরাছড়ি উপজেলায় না হওয়ায় রাঙামাটি উপজেলা সদরে পড়েছে। ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্রীকে মঙ্গলবার বিকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, ঘটনাটি শুনার পর ভিক্টিম পরিবারকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও মামলা দায়ের জন্য রাঙামাটি শহরে যেতে বলা হয়েছে।

জুরাছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,রাসেল চাকমা ও রুবেল চাকমা এ ঘটনা সাথে জড়িত বলে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদেরকে ধরতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বলা হয়েছে। এছাড়া কোন আঞ্চলিক দল যেন তাদের আশ্রয় না দেয় সে বিষয়টি  অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এলাকাটি  জুরাছড়ি থানায় না হওয়ায় রাঙামাটি কতোয়ালী থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। 

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হবে। ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বসহকারে নিয়ে  অপরাধীদের ধরতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions