লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০২:০৬:২৯ | আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ০৫:৫৫:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ শুরু করতে যাচ্ছে লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ (লজিক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় লজিক প্রকল্পের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুউদ্দীন মো. শিবলী নোমানের পরিচালনায় ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক একেএম আজাদ রহমান।  এসময় প্রকল্পের কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছেন এবং বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, হেডম্যান থোয়াই অং মারমা, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, নারীনেত্রী ও উন্নয়নকর্মী টুকু তালুকদার, উন্নয়নকর্মী উপাল কান্তি মুৎসুদ্দী ও বিপ্লব চাকমা, সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম প্রমুখ।

কর্মশালার প্রধান অতিথি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেছেন, 'সব কিছু হারানোর পর আমরা উপলব্ধি করছি, জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশের জন্য ঝুঁকি। আগের দিনে আমাদের প্রবীণরাও মনে করতেন টিলওয়েবের পানি ক্ষতিকারক; আর্সেনিক থাকে। এখন বাংলাদেশই কেবল নয়; সারাবিশ্ব জলবায়ু-পরিবেশ নিয়ে ভাবছে। কিভাবে জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা থেকে ওঠে আসবে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'শান্তি চুক্তির পরবর্তী সময়ে অনেক প্রকল্পই বাস্তবায়িত হয়েছে। এর কিছু প্রকল্প দৃশ্যমান হলেও কিছু কিছু প্রকল্প দৃশ্যমান হয়নি। আমরা প্রত্যাশিত দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পারছি না; এর দুর্বলতা কোথায় আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। প্রত্যেক প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। প্রকল্পের সঠিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে আমরা পরিবেশ, যোগাযোগ ও শিক্ষার উন্নয়নে পরিবর্তন আনতে পারব।'

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, লজিক প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার উদ্যোগ এবং সরকার, ইউএনডিপি, ইউএনসিডিএফ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সুইডেন ও ডেনমার্কের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পটি দেশের ৯ জেলায় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে, এরমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি-বান্দরবান জেলায় কার্যক্রম শুরু হতে হচ্ছে। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে আগামী ২০২৪ সালের জুনে।

দেশের নয়টি জেলায় সাড়ে ৪২ হাজার পরিবারকে প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে আওতায় আনা হবে, এরমধ্যে রাঙামাটির সাড়ে ৩ হাজার ও বান্দরবানে ৪ হাজার পরিবার আওতায় আসবেন। প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা হারে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। মূলত প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট উত্তরণে কাজ করবে।


সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions