সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু (রাঙামাটি)। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটির লংগদু সেনা জোন (তেজস্বী বীর)র পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালিটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এসে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়।
শান্তি সমাবেশে লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লংগদু জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল হিমেল মিয়া।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি হিমেল মিয়া বলেন, শান্তি চুক্তির মাধ্যমেই পাহাড়ে আমরা সকল সম্প্রদায়ের লোকজন বৈষম্য ভেদাভেদ ভুলে দেশ মৃত্তিকার টানে কাঁধে কাধ রেখে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। পাহাড়ে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি এলাকায় মিলেমিশে বসবাস করি তাহলে লংগদু হবে অন্যতম মডেল উপজেলা। এখানকার মৎস, কৃষি, জলবায়ু সহ যেসব ক্ষেত্র উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে ব্যাপক উন্নয়নে অগ্রগতি হবে।
লংগদু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম, লংগদু সদর ইউপি চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলি, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মো. এখলাছ মিঞা খান প্রমুখ।
এছাড়াও জোন উপ অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান, ৩৮ আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মীরবহর শাহাদাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন, সিএ কো-কোম্পানী কমান্ডার মো. আরিফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, মাইনীমূখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল, কালাপাকুজ্জ্যা ইউপি চেয়ারম্যান বারেক দেওয়ান, আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান অজয় চাকমা মিত্র, লংগদু থানার এসআই আল আমিন, জেএসএস (সংস্কার) দলের লংগদু থানা কমিটির সভাপতি অলঙ্গ লাল চাকমা সহ সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শান্তি চুক্তি বর্ষপূতি উপলক্ষে লংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও লংগদু বিদ্যানিকেতনে চিত্রাঙ্কন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জোন অধিনায়ক হিমেল মিয়া পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়াও শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মাইনী খালে বিকাল ৩টায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় জোন সদরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।